খেলা-ধূলা
Football: ‘হেড’ দেওয়ায় বাড়ছে সমস্যা, নিষিদ্ধ হতে পারে ফুটবলে…
বেঙ্গল এক্সপ্রেস: ‘হেড’ যারা খেলা দেখতে ভালোবাসেন তাঁদের কাছে এই শব্দটি অতিপরিচিত। সাধারণত ফুটবল খেলায় এই ‘হেড’ বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। বলকে হেড দিয়ে মেরে গোলপোস্টে ঢুকিয়ে দিতে দেখা যায় খেলোয়াড়কে। আবার অনেক সময় কর্ণার বা উইং থেকে উড়ে আসা সাজানো বলের ক্ষেত্রে হেড দেওয়াটা প্রধান হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে অতিপরিচিত এই ‘হেড’ অদূর ভবিষ্যতে বোধহয় বাদের খাতায় পড়ে যাবে। তার কারণ, এই ফুটবল খেলার সময় এই হেড দিয়ে বল খেলা অনেক সময় অনেকক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে। মাথা শূন্যে তুলে বলকে সজোরে আঘাত করতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায়, কারও মস্তিস্কে চোট লাগছে, অনেকের আবার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণও ঘটে। যা একজন খেলোয়াড়ের জীবনকে বিপন্ন করে তুলতে পারে।
এবার থেকে ফুটবলার খেলার সময় এই ‘হেড’ দিয়ে বল খেলা বন্ধ হতে চলেছে। তবে সবটাই খেলোয়াড় এবং দর্শকদের সুরক্ষার কথা ভেবে। শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও এমনই পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ভারতীয় শিবিরে ফের করোনা থাবা, আক্রান্ত KL Rahul
প্রথম দেশ হিসেবে ফুটবলে মাথা খাটানো বা হেড দেওয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে তারা। ইতিমধ্যে বাচ্চাদের ফুটবলে এই নিয়ম চালু করেছে। মূলত মাথার চোট থেকে বাঁচতে ও মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যে সব ফুটবলাররা হেড দেয় তাঁদের মস্তিষ্কের সমস্যার কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৩.৫ গুণ। ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ী দলের প্রায় অর্ধেক সদস্য ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। যার ফলে চিন্তা করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়।
এই গবেষণাপত্রটি সামনে আসার পর FA-র পক্ষ থেকে বাচ্চাদের ফুটবলে হেড দেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। এছাড়া প্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সপ্তাহে যেন তারা ১০টার বেশি হেড না দেয়। এর বেশি হলে লম্বা সময়ের জন্য মস্তিষ্কে প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: Neeraj Chopra : চোটের কারণে কমনওয়েলথ গেমস থেকে সরে গেলেন নীরজ চোপড়া
আরও জানা গিয়েছে, ২০২২-২৩ মরশুমের জন্য অনূর্ধ্ব ১২ দলের ট্রায়ালে হেড দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড বা IFAB। এরপরের মরশুম থেকে বাচ্চাদের সমস্তরকম ম্যাচে হেড দেওয়া নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। FA-র পক্ষ থেকে বিভিন্ন পেশাদার ফুটবল ক্লাবের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যে হেডিং নিয়ে কড়াকড়ি করতে। তাদের মতে, ফুটবল সবথেকে ঝুঁকির খেলা। পেশাদার ফুটবলে পর্যাপ্ত পরিচর্যা দরকার হেড করার ক্ষেত্রে।