বাংলার খবর
বাঁকুড়া থেকে পর্যটনে জোর মুখ্যমন্ত্রীর, হোম ট্যুরিজম স্কিল ট্রেনিং সেন্টার করার পরামর্শ
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মঙ্গলবার বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলার পর্যটনে সবথেকে বেশি জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মীয় পর্যটনের পাশাপাশি হোমস্টে পর্যটন নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, ব্লক পর্যায়ে হোম টুরিজম ট্রেনিং সেন্টার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, রাজ্যের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ব্যক্তিদের এক ছাতার তলায় আনতে গত মাসেই হয়ে যাওয়া বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে ফেডারেশন অফ টুরিস্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি সেক্টরের একটি সর্বভারতীয় সংস্থার সঙ্গে রাজ্যের মউ স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় সমস্ত ট্যুর অপারেটর, হোটেল মালিক এবং পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে। এরমধ্যে হেরিটেজ ট্যুরিজমও থাকবে। আগামী ৪ জুন কলকাতায় বিভিন্ন রাজ্যের শীর্ষ পর্যটন বিশেষজ্ঞ এবং পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের নিয়ে একটি বড় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। শুধু তাই নয়, গোটা বিষয়টাকে কার্যকর করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্য সচিব। ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে আগামী এক অথবা দুই বছরের মধ্যেই গোটা পর্যটনশিল্পকেই এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মীয় পর্যটনের ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘জয়রামবাটি, কামারপুকুর, মুকুটমণিপুর, খাতরা, বিষ্ণুপুর, জয়চন্ডী পাহাড়, এই সমস্ত জায়গা গুলোয় পর্যটনকে আরও উন্নত করতে হবে। এখানে অনেক টেরাকোটার মন্দির আছে, জৈন মন্দির আছে। মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার- সব এক করে, রিলিজিয়াস ট্যুরিজম কনসেপ্টস তৈরি করতে হবে। তার মধ্যে সব ধর্মই থাকবে। হেরিটেজ, মাঝের থান, জহর থান থাকবে।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী হোমস্টে গুলোকে আরও উন্নত করার নির্দেশ দেন। এবং হোমস্টে ট্যুরিজমে আরও অনেক মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি। পথসাথী, কর্মসাথী, মাটি সৃষ্টি-কেও হোম ট্যুরিজমের অন্তর্গত করারও নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত কিষাণ মান্ডিতে ফাঁকা ঘর পড়ে রয়েছে, সেগুলোকেও হোমস্টে হিসাবে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী হোম স্টে ট্যুরিজমের ট্রেনিং দেওয়ার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দেন, রাজ্যের প্রত্যেক পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, ব্লকে হোম ট্যুরিজম স্কিল ট্রেনিং সেন্টার করার। ছাত্র-ছাত্রী ও আগ্ৰহীদের ট্রেনিং দিয়ে প্রত্যেক ব্লক থেকে ১০ জনকে বেছে নিয়ে হোম স্টে সেন্টার গুলো তাদের দেওয়ার নির্দেশ দেন। ফলে এতে আরও অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।