বাংলার খবর
লক্ষ্মীবারের সকালেই শিলিগুড়ির শপিংমলে হাজির হাতি!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বৃহস্পতিবার সাত সকালেই শিলিগুড়িতে হুলস্থুল। হেলতে দুলতে শপিং মলে চলে এল হাতি। গোটা ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার এক শপিং মলের কাছে চলে আসে একটি দলছুট হাতি। এবং শপিংমলের চারপাশে নিজের খেয়ালেই ঘুরতে থাকে গজরাজ। তবে হাতিটি কোনও ক্ষতি করেনি। জানা গিয়েছে, সুকনা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতিটি চামটা হয়ে হিমাচল বিহার ও সিটি সেন্টার এবং সুকান্ত পল্লী এলাকায় ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সুকনা এলিফ্যান্ট স্কোয়াড। তারাই হাতিটিকে আবার জঙ্গলে ফিরিয়ে দেয়।
রাজ্যে লোকালয়ে হাতি ঢুকে পড়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহলে প্রায়ই গ্রামে হানা দেয় হাতি। হাতির হানায় ক্ষেতের ফসল, ঘর-বাড়ি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অনেক মানুষের প্রাণও যায়। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টি হাতির দল ঝাড়গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় সকালের দিকে হানা দেয়। লোকালয়ে ঢুকে তারা প্রচুর ক্ষয়-ক্ষতি করে। ঘর-বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে। আবার বিকেল হতেই তারা জঙ্গলে ফিরে যায়। প্রায় প্রতিদিনই হাতির হানার খবর পাওয়া যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। হাতির তাণ্ডবে সবসময়ই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে ঝাড়গ্রাম ও জামবনি ব্লকের ২০-৩০টি গ্রামের মানুষ। গ্রামবাসীরা প্রতিদিনই অভিযোগ করেন, বারবার অভিযোগ জানানো সত্বেও বনদফতর এই ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই হাতির তাণ্ডবের রীতিমতো রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে সেই সমস্ত এলাকার গ্রামবাসীদের।
কিছুদিন আগেই খাবারের সন্ধানে ঝাড়গ্রামে জামবনি ব্লকের পড়াডিহা এলাকায় এক যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালিয়েছিল একটি হাতি। কোনও রকমে ওই বাস চালক হাতির হাত থেকে রক্ষা করেন যাত্রীদের। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দাঁতাল হাতিটির নাম দিয়েছে ‘রামলাল’। সেই রামলালের হানায় সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকেন স্থানীয় মানুষজন। যদিও রামলালের কাণ্ডকারখানা দেখতে প্রায়ই ভিড় জমান এলাকার মানুষজন।