দেশের খবর
সুভাষ ভৌমিকের নামে সংগ্রহশালা ও মূর্তি তৈরি করছে ইস্টবেঙ্গল, ফেব্রুয়ারিতেই দুই প্রধানে স্মরণসভা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি প্রয়াত ফুটবলার এবং কোচ সুভাষ ভৌমিকের স্মরণসভা করবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। শুধু তাই নয়, সুভাষ ভৌমিকের কীর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে একাধিক পরিকল্পনাও নিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। সুভাষ ভৌমিককে নিয়ে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হচ্ছে।
সেখানেই আশিয়ান কাপ হাতে সুভাষ ভৌমিকের একটি স্ট্যাচুও থাকবে বলে জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। শনিবার সকালে নার্সিংহোমে সুভাষ ভৌমিকের মরদেহতে ক্লাবের পতাকা এবং ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর দেবব্রত সরকার বলেছেন, ‘আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টের সময় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে কোভিড বিধি মেনে প্রয়াত সুভাষ ভৌমিকের স্মরণসভা আয়োজন করা হবে। প্রাক্তন খেলোয়াড়, ওঁর সতীর্থরা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়াও সুভাষদার বিভিন্ন কীর্তি নিয়ে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। আশিয়ান কাপ হাতে নিয়ে ওঁর একটি স্ট্যাচুও থাকবে সেখানে। সেই কাজও শেষ হয়ে এসেছে।’ নার্সিংহোমে সুভাষ ভৌমিককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগান কর্তা দেবাশিস দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু পয়লা ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গল স্মরণসভার আয়োজন করেছে তাই ৩ অথবা ৪ ফেব্রুয়ারি মোহনবাগান তাঁবুতে সুভাষ ভৌমিকের স্মরণসভার আয়োজন করা হবে।
আলোচনা করে চূড়ান্ত তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। দেবাশিস দত্ত বলেছেন, ‘ওঁনার ম্যান ম্যানেজমেন্ট এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা অতুলনীয় ছিল। বিরাট মাপের মানুষ ছিলেন সুভাষদা। এত দ্রুত চলে যাবেন ভাবিনি। তবে যেখানেই যান, উনি সুভাষ ভৌমিকই থাকবেন। ওঁকে কেউ বদলাতে পারবে না। ওঁর সব থেকে বড় গুণ নিজস্বতা। ৭০-এর দশকে অনেক ফুটবলারই ছিল। কিন্তু উনি একটু ভিন্ন ছিলেন। মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকেও ওঁনাকে সম্মান জানানো হবে। যেহেতু ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ১ ফেব্রুয়ারি স্মরণসভার আয়োজন করেছে, আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের তিন বা চার তারিখ স্মরণসভার আয়োজন করব। আলোচনা করে চূড়ান্ত দিন ঠিক করা হবে।
‘ কলকাতার দুই প্রধানের হয়ে খেলার পাশাপাশি কোচিংও করিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানে। ফুটবলার হিসেবে দুই প্রধানে সমানভাবে সাফল্য পেলেও কোচ হিসেবে সৌভাষ ভৌমিক সবথেকে বেশি সফল ইস্টবেঙ্গলে। ইস্টবেঙ্গলকে টানা দু’বার জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন করার পাশাপাশি ২০০৩ সালে আশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। শনিবার সকালে তাঁর প্রয়ানের খবর পেয়েই একবালপুরের নার্সিংহোমে পৌঁছে যান ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান কর্তাদের পাশাপাশি প্রাক্তন ফুটবলাররাও।