বাংলাদেশের গ্রামীণ ফোনে চালু e-Sim পরিষেবা
Connect with us

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের গ্রামীণ ফোনে চালু e-Sim পরিষেবা

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রযুক্তির দুনিয়ায় ছুটছে গোটা বিশ্ব। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় যেন এখন আমাদের জীবনের ভবিতব্য। আর এই উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও (Bangladesh) চালু হল সর্বপ্রথম ই-সিম (e Sim) পরিষেবা।

কী এই ই-সিম পরিষেবা?

e-Sim হল প্রযুক্তির খুবই একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। যা দেখতে একটি ছোটো চিপের মতোন এবং এটি হার্ডওয়ারের মাধ্যমে গ্রাহকের স্মার্টফোনে সংযুক্ত করে রাখা হয়। 4G-5G এর দুনিয়া ই-সিমের জনপ্রিয়তা রয়েছে ব্যাপক হারে। যদিও আমাদের দেশ কিংবা বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে এই প্রযুক্তির ব্যবহার সস্তা এবং সহজলভ্য হলেও পাশের দেশ বাংলাদেশে কিছুদিন আগে পর্যন্তও এই e-Sim Card ব্যবহারের চল ছিল না।

Advertisement

তবে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় অতি সম্প্রতি সেদেশেও এই ই-সিম পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এবার থেকে এই সিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাঁদের সিম অপরিবর্তিত রেখে অন্য নম্বরে পোর্ট করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এখন থেকে আর সাধারণ মানুষকে মোবাইল নম্বর পরিবর্তনের সময় বারবার সিম খুলতে হবে না।

আর এই ঝামেলা দূর করতেই প্রযুক্তিবিদরা এই ই-সিম নামক প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল কোম্পানিগুলো আপনাকে একটা ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড বা কিউ-আর কোড দেবে। যেটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজে কোনও সিম পরিবর্তন ছাড়াই আপনার নম্বর যেকোনও সময় পরিবর্তন করতে পারবেন। মানে যখন যে নাম্বারটা চালাতে মনে চাইবে, তখন সেই নাম্বারটার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে চালাতে পারবেন।

তবে যেকোনও কিছুরই ভালো-খারাপ দুটি দিকই বর্তমান। আর সেক্ষেত্রে এই ই-সিম ব্যবহারে একটি বিরাট অসুবিধাও রয়েছে। সেটি হল, অসাবধানতাবশত বা কোনও ভাবে আপনার ফোন যদি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ওই হ্যাকার আপনার সিম ব্যবহার করে ফোনের যাবতীয় গোপন তথ্য হাতে পেয়ে যাবেন।

Advertisement

সুতরাং শুধু প্রযুক্তির সঙ্গে পা মিলিয়ে চললেই হবে না। চোখ-কান খোলা রেখে তবেই এগোতে হবে। না হলে যে কোনও মুহুর্তে ঘটে যেতে ছোটো-বড় যেকোনও ধরনের বিপদ। তাহলে আর কি এখন থেকেই সাবধান হোন। আর জানুন ইন্টারনেট দুনিয়ায় কোথায় আপনাকে থামতে হবে।