বাংলার খবর
ভোট চলাকালীন টুইট করে মমতাকে ভোট দেওয়ার আবেদন দুই মন্ত্রীর, ভুয়ো বলে অভিযোগ ওড়ালেন মন্ত্রী
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : প্রায় প্রত্যেকটি নির্বাচনী সভা থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরের প্রত্যেক বাসিন্দাকে ভোট দেওয়ার জন্য বারে বারে আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রতিটা ভোট তাঁর কাছে খুবই মূল্যবান। অথচ আজ সকালে ভোট গ্রহণ পর্বের শুরু থেকেই ভবানীপুরের প্রায় সমস্ত বুথের ভোটার লাইন কার্যত ফাঁকা ছিল। কোথাও লাইনে চার থেকে পাঁচ জন। কোথাও আবার বড় জোর দশজন।
এক এক জায়গায় তো ভোটারশূন্য ছিল। তা দেখে বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে টুইট করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম। ভোট চলাকালীন কোনও রকম প্রচারই সম্পূর্ণ বেআইনি। তারপরও ভোট চলাকালীন রাজ্যের দুই মন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট প্রচারকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি। যদিও এই নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় টুইট করার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তাঁর নামে যে টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই পোস্টটি করা হয়েছে, তা ভুয়ো বলে দাবি করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি টুইট করতেই জানেন না। এবং টুইটারে তাঁর কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি টুইট করতে জানিই না। কারা এসব করেছে আমার জানা নেই। পুলিশকে গিয়ে আমার মোবাইল ফোনটা দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। ওরাই খুঁজে বের করবে কে এমন ভুয়ো টুইট করেছে আমার নামে।’ তবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে যে অ্যাকাউন্ট থেকে এই টুইটটি করা হয়েছিল, সেটি ভেরিফাইড নয়। সেই অ্যাকাউন্টে কোনও নীল রঙের টিক চিহ্ন ছিল না। তাই এই অ্যাকাউন্টটির বৈধতা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন রয়েছে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি ফোন করা ও ধরা ছাড়া আর কিছুই বুঝি না। আমি কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই। কী ভাবে টুইট করতে হয় সেই সম্পর্কেও কোনও ধারনা নেই। তাই এই টুইট আমার করার কোনও প্রশ্নই নেই। এটা অন্য কেউ করেছে। আমি গোটা ঘটনাটা জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। পুলিশ তদন্ত করে বের করবে কারা এই কাজ করেছে। আমার নামে ভুয়ো টুইট করা হয়েছে। আমি টুইট করতে জানি না। ইচ্ছাকৃত ভাবেই কেউ এই কাজ করেছে, তাতে কোনও সন্দেহই নেই।