রাজনীতি
হেরিটেজ তালিকায় দুর্গাপুজো ! ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মহানগরীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : পৌষের শীতের বিকালে কলকাতায় ফিরল শারদোৎসবের আমেজ। সম্প্রতি বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজের তালিকায় স্থান পেয়েছে। তাই ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বুধবার কলকাতার রাজপথে বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল পুজো উদ্যোক্তারা।
অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এই বিশাল পদযাত্রায় অংশ নেন বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি শিল্পী সহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ও সাধারণ মানুষ। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য এবং বিধায়ক দেবাশিস কুমার, গায়ক সৈকত মিত্র। এই পদযাত্রার নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘গর্বের বার্তা… হোক পদযাত্রা’। ছৌ নাচ থেকে শুরু করে, ধুনুচি নাচ, মহিলা ঢাকি সহ বিভিন্ন রকম বাজনা সহকারের এই বর্ণাঢ্য মিছিল এসে পৌঁছয় ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিঙে। পদযাত্রার শেষে সেখানে এক অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল।
পাশাপাশি, ধর্মতলায় মেট্রোর কাজে ব্যবহৃত ক্রেন দিয়ে তোলা হয় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশাল ফ্লেক্স। হয় রঙিন কাগজের বৃষ্টি। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গোৎসব। আর এই দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেয়েছে। যাতে গোটা বাংলা তথা দেশের মানুষ গর্বিত। আর এর পিছনে অবশ্যই অবদান রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বারবার এই স্বীকৃতির জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। গত ১০ বছরে আমাদের পুজোর উত্তরণ ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কার্নিভাল সেই উত্তরণকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।
আর এই স্বীকৃতি নতুন দিশা খুলে দিল।’ এক পুজো উদ্যোক্তা বলেছেন, ‘করোনা সংক্রমণের ধাক্কায় যে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে তার প্রভাব পড়েছিল আমাদের শারদোৎসবেও। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি যেন সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার বার্তা দিল।’ গায়ক সৈকত মিত্র জানিয়েছেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত দুর্গাপুজো। সেই দুর্গাপুজো আজ বিশ্বের দরবারে জায়গা করে নিয়েছে। আর সেই উৎসবের স্বীকৃতি উদযাপনে শামিল হতে আজা আমি এখানে এসেছি।’