বাংলার খবর
সংরক্ষণের অভাবে হারাতে বসেছে প্রাচীন রাজবাড়ি, পর্যটনকেন্দ্র বানাতে আগ্রহী প্রশাসন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ধীরে ধীরে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে কয়েক-শো’ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যশালী রাজবাড়ি। তা আজ কার্যত শেষের পথে! কয়েকশো বছর আগে গড়ে উঠেছিল এই রাজবাড়ইগুলি। প্রাচীনকালে শাসন ব্যবস্থার সহ বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম এই রাজবাড়ইগুলি থেকেই পরিচালিত হত।
যদিও বর্তমান সময়ে আর রাজবাড়ির তেমন একটা কদর্য দেখা যায় না। কেবলমাত্র ফটোশ্যুট বা বিয়ে অথবা সিনেমার শুটিং-এর ক্ষেত্রেই কালেভদ্রে এই রাজবাড়িগুলিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রাজা নেই,চুকে গিয়েছে রাজপাট তাই পুরোনো দিনের সেই রাজবাড়িগুলিও ক্রমে ক্রমে কার্্যত অবলুপ্তির পথে বসতে চলেছে।
একবিংশ শতাব্দীতে রাজবাড়ির প্রাধান্য আর না থাকলেও রাজনীতির প্রধান মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই রাজনৈতিক নেতাদের কাছেই পুরাতন ঐতিহ্যের রাজবাড়ি গুলি সংরক্ষণের দাবি জানালেও বিশেষ একটা গুরুত্ব পাই না। রাজ্য তথা দেশের সর্বত্রই বেস্ট কয়েকটি ঐতিহ্যশালী রাজবাড়ির এমনই ভগ্নপ্রায় দশা।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সিল্ক বোর্ডের রেশম গুটি উৎপাদন কেন্দ্র সরিয়ে বহরমপুরে, ক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা বিধানসভা এলাকার নারাজলে অবস্থিত তৎকালীন রাজা উপেন্দ্রনাথ খান সহ তার পরিবারের এই ঐতিহ্যশালী রাজবাড়ি আজ ধ্বংসের মুখে রাজপরিবারের সদস্য সন্দীপ খান জানান, সরকারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যাতে করে এই ঐতিহ্যশালী রাজবাড়িটি সংরক্ষণ করা যায়। একের পর এক সরকারের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু পরিবর্তন হয়নি রাজবাড়ির চিত্রের। বর্তমান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে পর্যটন দফতরের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তা মুখে বললেও কাজেই এখনও দেখা যায়নি এমনই অভিযোগ রাজবাড়ীর সদস্যদের।
পাশাপাশি রাজবাড়ির সদস্য অনামিকা খান জানান,রাজবাড়িটিকে সম্পূর্ণরূপে সরকার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে ওইখান থেকে সরকারের কিছুটা যেমন অর্থ আসবে তেমনি প্রাচীন ঐতিহ্যশালী রাজবাড়িটি যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে এক স্মরণীয় স্থান হিসেবে থেকে যাবে। পুরোনো এই রাজ বাড়িতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানিয়েছেন, রাজবাড়ি থেকে সংরক্ষণ করে এখানে পার্কের পরিবেশ গড়ে তুললে অনেকটাই বিনোদন জায়গার পরিবেশ গড়ে উঠবে। পর্যটকদের দাবি, জায়গাটিকে সুন্দরভাবে গার্ডেনিং করে পুকুরে বোটিং সিস্টেম চালু থাকলে পর্যটকদেরও মনোগ্রাহী হবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যসড়কের ধার থেকে উদ্ধার ৪ যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
অপরদিকে দাসপুরের বিধায়িকা মমতা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের আওতায় আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।