বাংলার খবর
হাসপাতাল আছে নেই চিকিৎসক, রোগীদের চিকিৎসা করছেন পুলিশ কর্মীরা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আর্ত মানুষদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল হাসপাতাল। সেই হাসপাতালই এখন পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্সের অভাবে রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে ধুঁকছে।
এমনই করুণ অবস্থা বালুরঘাট জেলার পুলিশ হাসপাতালের। হাসপাতালে পর্যাপ্ত নার্স এবং চিকিৎসক না থাকায় ইনডোর পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে পুরোপুরি ভাবে। শিবরাত্রির সলতের মতন ধুঁক-ধুঁক করে চলছে আউটডোর পরিষেবা। তাও পরিষেবা দিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বালুরঘাটে জেলা পুলিশ হাসপাতালে (Balurghat Police Hospital) নেই কোনও চিকিৎসক ও নার্স। যার ফলে শুধু কোনও রকমে আউটডোর পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। আর সেই পরিষেবা দিয়ে চলেছেন গুটিকয়েক পুলিশকর্মী (Police Personnel)। যেখানে আগে রোগী রাখা হত সেই ঘর গুলিতে পুলিশদের রাখা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বাংলার সাংসদ ও বিধায়কদের ভোকাল টনিক দিতে আসছেন নাড্ডা
দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন পুলিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে রোগীদের বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। যদিও পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসক (Doctor) ও নার্স (Nurse) নিয়োগের জন্য জেলা পুলিশের তরফে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আনা ও আবেদন করা হয়েছে।
জেলার পুলিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। প্রায় উনিশের দশকের শেষে এই হাসপাতাল তৈরি করা হয় বালুরঘাট পুলিশ লাইন (Balurghat Police Line) সংলগ্ন এলাকায়। যেখানে জেলার পুলিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
এছাড়াও এই হাসপাতালে বিচারধীনদেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে উন্নতমানের হাসপাতালে পরিষেবা দিতে ২০০০ সালে USG সহ অন্যান্য পরিষেবা চালু করা হয়। এখানে আগে একজন চিকিৎসক নিয়মিত বসতেন। এছাড়াও থাকতেন নার্সও। পাশাপাশি থাকতেন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে পুলিশ হাসপাতালে নেই কোনও চিকিৎসক ও নার্স।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর, বাংলায় ফের বিনিয়োগ করবেন গৌতম আদানি
বর্তমানে পুলিশ হাসপাতালে ১৩ জন কর্মী রয়েছে। যাঁরা সকলেই পুলিশকর্মী। বর্তমানে এই হাসপাতালে শুধুমাত্র আউটডোর পরিষেবা রয়েছে। যেখানে প্রেসার মাপা থেকে অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হয়। এই ওষুধ শুধুমাত্র স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে ভালো ফল করায় বিশেষভাবে সক্ষম চিরঞ্জিতাকে ট্যাব উপহার কৃষ্ণ কল্যাণীর
বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “পুলিশ হাসপাতাল হলে চিকিৎসক নিয়োগ করা হয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স নেই। চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে চিকিৎসক নেই। যার ফলে একটা সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা কবে মেটে সেটাই এখন দেখার।”