বাংলার খবর
আবারও বাড়ছে করোনা, পেটের দায়ে কোভিড বিধিতে অনীহা সোনাগাছির

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেশের পাশাপাশি গোটা রাজ্যে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য আবারও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। অতীতে করোনার চোখ রাঙানির সময় সচেতনতার চিত্র ধরা পড়েছিল সোনাগাছিতেও। যৌনপল্লীতে প্রবেশের আগে থার্মাল চেকিং, মুখে মাস্ক, সঙ্গমের আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া- সব নিয়মই মানা হয়েছিল। আর তার সুফলও পেয়েছিল সোনাগাছি। করোনার তিনটি ঢেউই সেইভাবে আক্রান্ত করতে পারিনি শহরের এই যৌনপল্লীকে।
রাজ্যে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করনার দৈনিক সংক্রমণ। তবে এবার পেটের দায়ের জন্য আর কোভিড বিধি সেই ভাবে মানতে চাইছে না সোনাগাছি। থার্মাল টেস্ট, মাস্ক পরা বা সঙ্গমের আগে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার অভ্যাস যৌনপল্লীতে এখন অতীত। যৌনকর্মীরা বলছেন, অত নিয়ম মানতে গেলে এবার তাঁদের না খেতে পেয়ে মরতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যৌনকর্মী জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘদিন পর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। সব ব্যবসাই আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আর এখন আবহাওয়ার জন্য সকলেরই জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। তাই এখন যদি আমরা আবার মাস্ক পরা সহ অন্যান্য কোভিড বিধি মানার কথা বলি, তাহলে আর গ্রাহক আসবে না। এর আগে লকডাউন চলাকালীন আমাদের পেট চালাতে রীতিমতো লোকের কাছে হাত পাততে হয়েছে। সেটা আর চাইছি না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক যৌনকর্মী বলেন, ‘আমরা সকলেই করোনার দুটো টিকা নিয়েছি। পাঁচজন আমরা পেশায় ফিরে এসেছি। এই কাজের তাগিদে আমাদের মাস্ক খুলতেই হয়। ঝুঁকি আছে, তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। কিন্তু না খেতে পেয়ে মরার থেকে এই ঝুঁকি নেওয়া অনেক ভালো।’
যৌনকর্মীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা সমাজকর্মী রতল দলুই অবশ্য জানিয়েছেন, করোনার দাপট এখন কম থাকায় কোনও কোনও যৌনকর্মী মাস্ক পরছেন না ঠিকই, কিন্তু আবার অনেকে মাস্ক পরছেন। দুর্বার মহিলা সমন্বয় রক্ষা কমিটির মুখপাত্র মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এখন আগের মতো আর থার্মাল চেকিং হচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু যৌনকর্মীরা অনেক বেশি সচেতন। তাঁরা সকলেই মাস্ক পরছেন এবং করোনার জোড়া টিকাও নিয়েছেন।’