বাংলার খবর
করোনাবিধি মেনে দোল উৎসব পালিত হচ্ছে বেলুড়মঠে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল’(Holi 2022) । আজ দোল উৎসব। করোনার কারণে গত দু’বছর ধরে সমস্ত কিছুই বন্ধ ছিল। সংক্রমণ (Covid19) রুখতে রঙ খেলার উপরও জারি ছিল সরকারি বিধিনিষেধ।
তবে বর্তমানে সংক্রমণের রেশ কিছুটা নিম্নগামী থাকায় ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে জনজীবন। আর তাইতো দোল উপলক্ষ্যে শুক্রবার বেলুড় মঠেও মহা সমারোহে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতেই সন্ধ্যারতির পর বেলুড় মঠে পালিত হয় হোলিকা দহন।
এরপর শুক্রবার সকাল থেকেই শ্রীরামকৃষ্ণে দেবের মন্দিরে মঙ্গলারতির পর অনুষ্ঠানের শুরু হবে। এদিন সকাল সাতটায় ঊষা কীর্তন। সন্ন্যাসী মহারাজেরা ঠাকুরকে প্রণাম করে ঢোল করতাল আবির নিয়ে উষা কীর্তন করতে করতে মন্দির প্রদক্ষিণ করেন। গানের সঙ্গে সঙ্গে উদ্বাহু উদ্বাহু নৃত্য ও আবির মাখানোও হয়। বেশ কিছুক্ষন অনুষ্ঠান চলার পর মিষ্টি মুখ শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। যদিও করোনার কারণে এবারেও মঠে দর্শকদের প্রবেশাধিকার ছিল না। কতিপয় মানুষ এবং মূলত সন্ন্যাসী মহারাজেরাই এই অনুষ্ঠানে শামিল হতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: –জেলায় রঙের উৎসবে মাতোয়ারা আমবাঙালি
অন্যদিকে, গোটা বাংলার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রবার সকাল থেকেই রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে বাঁকুড়া সতিঘাটের গন্ধেশ্বরী নদীর তীর। এদিন রাত ১ টা ৫৭ মিনিটে দোলযাত্রার আগের দিন পালিত হল ন্যাড়া পোড়া বা চাঁচর উৎসব।
‘আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া, কাল আমাদের দোল। পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বল হরি বল।’ দোল খেলার আগের দিন এই দুটি শ্লোকের সঙ্গে বাঙালি পরিচিত প্রায় অনেক দিনের। শুকনো খড়, পাতা, গোবরের ঘুটে দিয়ে এককথায় ‘বুড়ির ঘর’ জ্বালিয়ে এই উৎসব পালিত হয়। তারপর আগুন নিভিয়ে আগুন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন বালতি বা হান্ডার মাধ্যমে।