রোগী ICU-তে এমন অবস্থায় চলে গিয়েছে যে, সে স্যালাইন নিচ্ছে না : দিলীপ ঘোষ
Connect with us

মহানগর

রোগী ICU-তে এমন অবস্থায় চলে গিয়েছে যে, সে স্যালাইন নিচ্ছে না : দিলীপ ঘোষ

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শুক্রবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বাংলার হবু শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন  তিনি বলেন, ”দেখুন তাঁরা তিন বছর ধরে লড়াই করছেন। তাঁরা যখন প্রথম ধর্ণা দেন পার্থবাবু তখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, ”তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু তিন বছরে কিছু হয়নি। মাসের পর মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন, ধর্না দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে গিয়ে অনুমতি নিয়ে নিয়ে এসে ধর্ণা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি না মেনে নতুন চাকরির গল্প বলা হচ্ছে, কিন্তু তাদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের লাঠিপেটা করা হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থায় একদিকে ছাত্ররা রাস্তায় বসে আছে, স্কুলের শিক্ষক নেই। শিক্ষকরা রাস্তায় বসে আছে  তাঁদের জয়েন করানো হচ্ছে না। চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। এই যে শিক্ষা ব্যবস্থায় দুরাবস্থা তৈরি হয়েছে তার পরিবর্তন না হলে লাঠিপেটা করে দুই একদিনের জন্য শান্ত করা যাবে আন্দোলনকে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না।” 

পিকে- কংগ্রেসকে সাংগঠনিক ৫ দাওয়াই দিয়েছেন। সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ”রোগী আইসিইউতে এমন অবস্থায় চলে গিয়েছে যে, সে স্যালাইন নিচ্ছে না। তাঁকে কি দাওয়াই দেবেন? কংগ্রেস কি আছে, এই পরিস্থিতিতে তাঁর দাওয়াই নিয়ে কাজ করবেন নেতারা।  বাড়ি থেকে বের হবেন সাধারণ মানুষের  সঙ্গে সম্পর্ক নেই, কে নেতা?  একবার মা, একবার ছেলে। জোর করে একজনকে নেতা বানানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও পার্টি টিকে থাকতে পারে না। তাই সাধারণ মানুষ  তাঁকে ভুলে যাচ্ছে।”

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে কত টাকা লাভ হয়েছে’, শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি দিলীপের

দেউচা পাঁচামি প্রসঙ্গেও দিলীপ ঘোষ বলেন, ”সব সময় আমরা শিল্পের পক্ষে আছি। যেখানে কর্মসংস্থান হবে, যেখানে চাকরি হবে সরকারের আর্থিক লাভ হবে। কিন্তু ওখানকার মানুষকে জোর করে, সিঙ্গুরে যেমন সিপিএম জোর করেছিল। ঠিক একই ভাবে বীরভূমে দেওচা পাঁচামি হচ্ছে। সেখানকার আদিবাসী সমাজকে বিশ্বাসের মধ্যে না আনা যায়, তাহলে তাঁরা জমি দেবেন না। আদিবাসীদের জমি জোর করে নিতে পারে না এই সরকার। আর সেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে বলে বিরোধিতা করছে। মানুষের সঙ্গে কথা বলা দরকার আছে। সরকারের কেউ তাঁদের সঙ্গে কথা বলছে না। দালাল লাগাচ্ছে আমাদের মনে হয়েছে, আমরা বিরোধী দল তাই তাদের সঙ্গে থাকা উচিত। তাঁরা যদি নিজে থেকে জমি ছাড়েন তাহলে শিল্প হবে। জমি ছাড়বে না এরকম কেউ নয়। সিপিএমের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লোক কে পেয়েছিল, আজকে সেই একই জিনিস হচ্ছে।”  

আদানি গ্রুপ কর্ণাটকে ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আগামী ১০ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ”দেখুন এখানে প্রস্তাব আকারে থেকে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে পায়ে ধরেছেন, তাই  তাঁরা এসেছেন। আদানি-আম্বানিকে মোদির লোক বলে এতদিন গালাগালি দিয়েছে। মোদি, আদানি ও আম্বানি সবাইকে জুড়ে দেওয়া হল আজকে। সেই আদানি আম্বানিদের পায়ে পড়তে হচ্ছে , গৌতম জি,গৌতম জি বলতে হচ্ছে দিদিকে কেন?  যদি তাঁরা এসেই থাকেন আগে মোদির লোক মোদিকে জিজ্ঞাসা করবেন কোথায় ইনভেস্ট করব?  তারপরে দিদির কথা শুনবেন।” মোদির লোক দিয়ে আপনি কাজ চালাবেন, মোদির টাকা মোদি প্রজেক্ট মোদির শিল্পপতি দিয়ে বাংলার উন্নয়ন হবে বলেও তিনি প্রশ্ন তোলেন।  

Advertisement

আরও পড়ুন: মেলেনি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড, খুদের হার্টের রোগ সারাতে অথৈ জলে পরিবার

”এই বাংলার পরিবর্তন করুন, তারপরে লোকেরা আসবে। লোকেরা দেখতে এসেছিলেন কাল যদি আপনাদের পেপার-মিডিয়া দেখে থাকেন সকাল থেকে খুন আর ধর্ষণের খবর চলছে। প্রোমোটার কে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, নেতাকে গুলি করে মারছে। কি করে শিল্প হবে এখানে?  এসব দেখার পর তাঁর আপ্তসহায়ককে যদি জিজ্ঞাসা করেন,  দিদি যে ভাষণ দিচ্ছিলেন আর মিডিয়াতে যেটা চলছে পশ্চিমবাংলায় একই? তারপরে আসবে না।” চপ মুড়ি খেতে হবে বলেও  এদিন তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন।” 

Advertisement