সকাল থেকেই দিঘায় সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস! চলছে কড়া নজরদারি
Connect with us

বাংলার খবর

সকাল থেকেই দিঘায় সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস! চলছে কড়া নজরদারি

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ :  ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’- এর ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার যে কোনও সম্ভাবনা নেই, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। শক্তি হারিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়া জাওয়াদ অতিগভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে কলকাতা থেকে ৬৩০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষি পশ্চিমে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের কাছে অবস্থান করছে।

এটি আজ রাতের মধ্যে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ওড়িশার মহানদীর ব-দ্বীপ সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থান করবে। ঘন্টায় ১১ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশা উপকূলের দিকে জাওয়াদ এগিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে, উপকূলে খুব জোরালো ঝড়ের এবং দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় কোনও রকম ঝড়ের সম্ভাবনা নেই। গতকাল দুপুরের পর মেঘের গঠন পদ্ধতি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তার তুলনায় মেঘ বেশি ভেঙে যাচ্ছিল। তবে আজ মেঘের গঠন পদ্ধতি পুণরায় শুরু হয়েছে, ফলে আবারও বৃষ্টি বাড়তে পারে। এইমুহূর্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলেছে পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশে।

আজ এবং আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলায় এবং উত্তরবঙ্গের মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে এবং বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ‘জাওয়াদ’ উপকূলে প্রবেশ না করলেও দিঘার সমুদ্রে তীব্র জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে রবিবার সকাল থেকেই। উত্তাল সমুদ্রও! সকালবেলায় পর্যটকরা দিঘার পারে হাজির হয় সমুদ্র দেখার জন্য। যদিও বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও সেদিকে কর্ণপাত না করে জলোচ্ছ্বাস দেখতে বেশ কিছু পর্যটকের ভিড় জমে যায়।

Advertisement

সমুদ্রতট বা গার্ডওয়ালের আশপাশে যেন পর্যটকরা না যান সে দিকে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে দিঘা পুলিশ। জওয়াদ’-এর আতঙ্কের মাঝেই আরও একটা আতঙ্ক হল অমাবস্যার ভরা কোটাল। আজ দুপুর দেড়টার পর থেকে এই কোটালের কারণে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোটালের কারণে দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলের নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Continue Reading
Advertisement