বাংলার খবর
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে ১৫ দিনে ৯ লক্ষ টাকার প্রণামী, তৈরি হচ্ছে আরও ১০টি বাক্স

মাত্র ১৫ দিনেই পশ্চিমবঙ্গের ধর্ম ও পর্যটনের মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। অক্ষয় তৃতীয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধনের পর থেকেই এই মন্দির দর্শনার্থীদের আগমনে সরগরম। মন্দির কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ১৫ দিনেই প্রণামী বাক্সে জমেছে ৯ লক্ষ টাকারও বেশি! এই বিপুল অঙ্ক সামাল দিতে গোনার কাজেই লেগে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
দর্শনার্থী ও ভক্তদের আগ্রহ দেখে এখনই বাড়তি ১০টি প্রণামী বাক্স তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন বাক্সগুলি স্টেনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি হবে, প্রতিটিতে থাকবে দুটি করে তালা। মন্দির চত্বরের বিভিন্ন প্রান্তে এই বাক্সগুলো বসানো হবে যাতে ভক্তরা সহজেই দান করতে পারেন।
প্রতি মঙ্গলবার প্রণামী বাক্স খোলা হয় এবং গণনা করা হয়। গত ১৩ মে দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টানা ৭ ঘণ্টা ধরে গোনা হয়েছে ৯ লক্ষ টাকারও বেশি দান। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০ ও ২০ টাকার নোটই সবচেয়ে বেশি এসেছে। ব্যাংক কর্মী, প্রশাসনিক আধিকারিক, স্বেচ্ছাসেবক এবং ট্রাস্ট সদস্যদের উপস্থিতিতে এই গোনার কাজ হয়।
দিঘার এই মন্দিরে প্রথম চার-পাঁচ দিনেই দর্শনার্থীর সংখ্যা ছাড়ায় ১০ লক্ষ। এরপর থেকেই প্রতিদিন ভক্তদের ঢল নেমেছে। জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার উদ্দেশে মানুষের ভক্তিভাব এবং উদারতা যেন নতুন মাত্রা যোগ করছে এই ধর্মীয় কেন্দ্রকে।
মন্দির ট্রাস্টের সদস্য ও ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস জানিয়েছেন, দানপাত্রে যাঁরা পৌঁছতে পারেন না, তাঁদের সুবিধার জন্যই অতিরিক্ত বাক্স বসানো হবে। তিনি আরও জানান, কেউ মোটা অঙ্কের অর্থ দান করতে চাইলে সরাসরি ট্রাস্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও জমা দিতে পারেন।
এই উৎসাহ এবং ভক্তি দেখে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, দিঘার জগন্নাথধাম রাজ্যের অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্রে রূপ নিচ্ছে।