দেশের খবর
বিজেপিকে রুখতে দেশে দিদিকেই দরকার, তৃণমূলে যোগ দিয়েই জানিয়ে দিলেন মুকুল সাংমা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিজেপিকে রুখতে জাতীয় রাজনীতিতে দিদিকে প্রয়োজন। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়ে এমনটাই বললেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা।
মঙ্গলবার কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে মেঘালয়ের ১২ জন বিধায়ককে স্বাগত জানালেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি সুব্রত বক্সী। কংগ্রেসকে কার্যত সাইনবোর্ডে পরিণত করার হুঁশিয়ারিও দিলেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা৷ তাঁর দাবি, মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যেই গোটা মেঘালয় জুড়ে উড়বে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা। এতদিন মুকুল সাংমা কংগ্রেসে ছিলেন৷ সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে৷ সঙ্গে এনেছেন হাত শিবিরের ১১ জন বিধায়ককেও৷ ফলে রাতারাতি মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেস হয়ে উঠেছে প্রধান বিরোধী দল৷ সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করে আসেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল-সহ দলের অন্যান্য নেতারাও। তাপরই মেঘালয়ে তণমূলের সভাপতি হিসেবে বিধায়ক চার্লস পিংরোপের নাম রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা করা হয়।
এই ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় মেঘালয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৮ থেকে কমে হয়েছে ছয়। ফলে এই মুহূর্তে মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে এসেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার মুকুল সাংমা বলেছেন, ‘দেশকে পথ দেখাতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। গোটা দেশে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদিকে ঠেকাতে জাতীয় ক্ষেত্রে দিদিকেই প্রয়োজন। গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে তিনি একটা ট্রেন্ড সেট করে দিয়েছেন। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যেই গোটা মেঘালয় জুড়ে উড়বে তৃণমূলের পতাকা। গোটা মেঘালয়ে আমরা তৃণমূলের সংগঠনকে আরও মজবুত করব। এবং আগামী দিনে মেঘালয়ে তৃণমূলই ক্ষমতায় আসবে। বিজেপিকে আটকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ কংগ্রেস। বিজেপির মোকাবিলা করতে তাই জাতীয় রাজনীতিতে দিদিকেই এখন সবথেকে বেশি প্রয়োজন। তাই মেঘালয়ে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি শুধু সেই রাজ্যের জন্যই মঙ্গল নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতকেই আশার আলো দেখাবে।’