বাংলার খবর
রাতে ঘুম হয়নি, তাই ঘুম পাচ্ছে বলে ট্রেন চালালেন না চালক!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কদিন আগেই উত্তরবঙ্গে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ক্ষত এখনও টাটকা। তারই মধ্যে এক অন্যরকম ঘটনা ঘটল। কাজের চাপে রাতে ভালো ঘুম হয়নি। তাই ট্রেন থামিয়েই ঘন্টা দু’য়েক ঘুমিয়ে নিলেন ট্রেনের চালক! যার জেরে গন্তব্যে প্রায় ৫ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছল ট্রেন।
অভূতপূর্ব এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর রেল স্টেশনে। জানা গিয়েছে, ঘুম না হওয়ায় ট্রেন চালাতে অস্বীকার করেন বালামউ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক। তাই যাত্রী সমেত ট্রেন থামিয়ে দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ঘুমোনোর পর ট্রেনে নিয়ে গন্তব্যের দিকে রওনা হন চালক। জানা গিয়েছে, বালামউ প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময় সূচির প্রায় ৩ ঘণ্টা দেরিতে রাত প্রায় ১ টা নাগাদ শাজাহানপুর স্টেশনে পৌঁছয়। ওই স্টেশনেই চালক বদল হওয়ার কথা ছিল ট্রেনটির। যে চালক বালামউ থেকে ট্রেনটি চালাচ্ছিলেন তাঁর পরদিন সকালে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল বালামউতে। কিন্তু গভীর রাতে চালক বদল হওয়ায় ঠিকমতো ঘুমোনোর সুযোগ পাননি ওই চালক। সকাল ৭ টায় শাহজাহানপুর স্টেশন থেকে ট্রেনটিকে নিয়ে বালামউয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল ওই চালকের।
কিন্তু তিনি ট্রেন চালাতে অস্বীকার করেন। যার ফলে রেল কতৃপক্ষ মহা ফ্যাসাদে পড়ে যায়। কিন্তু তাদেরও কিছু করার ছিল না। অগত্যা চালকের দাবি মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। যাত্রীরাও পড়েন চরম দূর্ভোগে। ট্রেনের মধ্যেই তাদেরও অপেক্ষা করতে হয়। অবশেষে ঘন্টা দু’য়েক ঘুমনোর পর সকাল সাড়ে ৯ টা নাগদ ট্রেন নিয়ে গন্তব্যের দিকে রওনা হন চালক। তিনি ট্রেনটিকে রোজা স্টেশন অবধি নিয়ে যান। সেখান থেকে অন্য এক চালক বালামউ নিয়ে যান। ট্রেন চালানোর জন্য চালকদের পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যথেষ্ট সতর্কতা এবং মনোযোগের সঙ্গেই ট্রেন চালাতে হয়। কারণ হাজার হাজার মানুষের জীবনের দায়িত্ব থাকে চালকদের হাতেই। তাই এই চালক যে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে উচিত কাজই করেছেন বলে মত সকলের। এই প্রসঙ্গে শাহজাহানপুরের স্টেশন মাস্টার জেপি সিং জানিয়েছেন, ‘রাতে ঘুম না হওয়ায় ট্রেন চালাতে অস্বীকার করেন ওই চালক। কিন্তু কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ট্রেন নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন চালক।