দেশের খবর
দিল্লিতে মোদি-শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ ধনকরের, রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দু’দিন আগেই পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়ের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। পাহাড় সফর শেষ করে দার্জিলিং থেকেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। আর শনিবার দুপুরে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করলেন জগদীপ ধনকর। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দীর্ঘক্ষন দু’জনের মধ্যে বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যপাল। আর তারপরই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর জল্পনা। তবে কী নিয়ে দু’জনের মধ্যে এই বৈঠক, তা অবশ্য জানা যায়নি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক ও আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাতেই প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হয়েছেন রাজ্যপাল।
জিটিএ-এর সদ্য নির্বাচিত বোর্ড মেম্বারদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই সপ্তাহেই দার্জিলিঙে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে চায়ের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই নিমন্ত্রণ রক্ষাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাও। যদিও সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সেটা নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল। সেখানে কোনও কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। চা খেয়েছেন এবং গল্পগুজব করেছেন।
তারপরই দার্জিলিং থেকেই আবারও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল বলেন, ‘রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। এ কথা সকলেরই জানা। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। এমনকি সংবাদমাধ্যমও এই নিয়ে কিছু বলতে ভয় পায়।’
রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘সবকিছু দেখেও নাগরিক সমাজ এবং বুদ্ধিজীবীরা চুপ করে রয়েছেন। যা আমাকে খুবই বেদনা দেয়। আর্থিক বেনিয়ম, আমলাতন্ত্রে সাম্প্রদায়িকতা, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষণকে কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। গত তিন বছরে আমি রাজ্যে শিল্প, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান নিয়ে অনেক বক্তব্য শুনেছি। কিন্তু বাস্তবে সেসব কিছুই হয়নি। এর বিরুদ্ধে যদি এখনই আমরা সরব না হই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। গণতন্ত্র ভেঙে পড়বে।’
