দেশের খবর
দেশজুড়ে জোরালো হচ্ছে কয়লা সঙ্কট, অন্ধকারে ডুবতে চলেছে এই রাজ্যগুলি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেশজুড়ে ক্রমশ প্রবল হচ্ছে কয়লা সঙ্কট। কয়লা সঙ্কটের জেরে বিদ্যুতের যোগানে পড়বে ঘাটতি। যার দরুণ খুব শীঘ্রই অন্ধকারে ডুবতে চলেছে দেশের একাধিক রাজ্য। দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে।
শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, কয়লা সঙ্কটের জেরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে। যারফলে দেশের একাধিক রাজ্য যেমন, দিল্লি, রাজস্থান, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক বিদ্যুৎ সঙ্কট তৈরি হতে চলেছে।
সরকারি সূত্রে খবর, দিল্লি সরকার বৃহস্পতিবার মেট্রো, ট্রেন এবং হাসপাতাল সহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের সম্ভাব্য বিপত্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য একটি জরুরি বৈঠকও করেছেন এবং জাতীয় রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত কয়লার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রফতানি বন্ধ করল ইন্দোনেশিয়া, বাড়তে পারে ভোজ্যতেলের দাম
দাদরি-২ এবং উনচাহার পাওয়ার স্টেশনগুলি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে, দিল্লি মেট্রো এবং দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতাল সহ অনেক প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হতে পারে বলে সরকারি তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। দিল্লিতে বিদ্যুতের চাহিদার ২৫-৩০ শতাংশ চাহিদা মেটায় দাদরি এবং উনাচার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার ঘাটতির কারণে রাজধানীজুড়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ”সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং রাজধানীর কিছু এলাকায় যাতে মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন না হয় সেজন্য সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” এদিকে একই অবস্থা পার্শ্ববর্তী রাজ্য পাঞ্জাবেরও। কৃষকদের সংগঠন কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটি বৃহস্পতিবার অমৃতসরে বিদ্যুতমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানএবং কৃষিক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত না করার অভিযোগ এনেছে। পাঞ্জাবের বিদ্যুৎমন্ত্রী হরভজন সিং বলেন, ”ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা চলতি বছরে ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড মোকাবিলায় ভ্যাক্সিন সবথেকে বড় অস্ত্র: মোদি
শুধু পাঞ্জাব নয়, অন্যান্য রাজ্যও একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।” এই বিষয়ে বিরোধী দলগুলির তরফে বলা হয়েছে যে, একটানা লোডশেডিংয়ের কারণে গৃহস্থালীর কাজকর্মের অসুবিধার পাশাপাশি কৃষি ও শিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।