Anubrata Mandal : দিল্লির আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আরজি খারিজ
Connect with us

রাজনীতি

দিল্লির আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আরজি খারিজ

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল জামিনের আরজি জানিয়েছিলেন, অভিযোগ তুলেছিলেন ইডির কর্তব্যে গাফিলতির বিরুদ্ধে।

Anubrata Mandal
Rate this post

নিউজডেস্ক, নয়াদিল্লি: দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আরজি খারিজ করল । গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত গ্রেপ্তারের পর বহু দিন কেটে গিয়েছে তবে এখনও চার্জশিট পেশ করতে পারেনি (ED) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল জামিনের আরজি জানিয়েছিলেন, অভিযোগ তুলেছিলেন ইডির কর্তব্যে গাফিলতির বিরুদ্ধে। তবে স্বস্তি পেলেন না অনুব্রত, দিল্লির আদালত তাঁর সেই আরজি এদিন খারিজ করে দিয়েছে । উল্লেখ্য়, দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত দিল্লি হাই কোর্টে আরও দুটি মামলা চলছে । 

 বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গত বছরের আগস্ট মাসে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করে সিবিআই (CBI)। তদন্তে পাহাড় সমান সম্পত্তির খোঁজ মেলে তাঁর নামে ও বেনামে । এরপর ইডি’র নজরে আসে বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি। দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে জেরা করেন ED। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত এবং তার মেয়ের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। এরপরই সেই তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
তদন্তের স্বার্থে, রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) নিয়ে গিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে জেরা করতে চায় ইডি। দিল্লিতেই কেনো ? সেই মর্মে মামলাও দায়ের হয়। সুত্রের খবরে জানা যায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে অনেক অজানা তথ্যই বেরতে পারে। জানা গিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আরজি খারিজ হয়ে গেল । 
অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন । আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের মালিকাধীন ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ করার আরজি জানানো হয় তবে, অনুব্রতর জামিনের আবেদন করেননি আইনজীবী । আইনজীবী জানান, “অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ থাকার ফলে বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটানো যায়নি। তাই অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ করা হোক। আর না হলে বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটানোর বন্দোবস্ত করুন”। বিচারক বলেন, “অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য তদন্তকারীদের দিন। তারপরই ডি-ফ্রিজ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”

 

Advertisement