দেশের খবর
কুতুব মিনার ধর্মীয় স্থান নয়, আদালতে জানাল ASI
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিতর্কের শেষ নেই! এবার দিল্লির কুতুব মিনার নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় মিনারে ভিতরে কোনও রকম পুজাঅর্চনা করা যাবে না বলে জানাল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Archaeological Survey of India)।
জানা গিয়েছে, আদালতের তরফে এক নির্দেশিকায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে কুতুব মিনার হল একটি প্রাচীন স্মৃতিসৌধ। এর ভিতরে হিন্দুদের পুজোঅর্চনা করার অধিকার কোনও ভাবেই দেওয়া যায় না। ১৯০৪-এর দ্য অ্যানসিয়েন্ট মনুমেন্টস প্রিজারভেশন অ্যাক্টের অধীনে ১৯০৯ সাল থেকে কুতুব মিনারের (Qutub Minar) সুরক্ষা ও সংরক্ষণ করে আসছে এএসআই। সেই থেকে মিনার ও লাগোয়া এলাকার কোনও ধরনের পরিবর্তন করা হয়নি। যা ছিল তাই আছে। আইন মোতাবেক তাই অক্ষত রাখতে হবে।
তাঁরা ১৯৫৮ সালের দ্য অ্যানসিয়েন্ট মনুমেন্টস অ্যান্ড আর্কিওলজিক্যাল সাইটস অ্যান্ড রিমেইন্স আইনের সংশ্লিষ্ট ধারারও উল্লেখ করেছে। ওই আইন অনুসারে, ওই ধরনের নির্মাণ এলাকায় কোনও জাতীয় উপাসনার অনুমতি দেওয়া যায় না। সরকারি নিয়ামক সংস্থার বক্তব্য, উপাসনা সংক্রান্ত সাংবিধানিক অধিকার বলেও এই অনুমতি কাউকে দেওয়ার সুযোগ নেই সংশ্লিষ্ট আইন দুটিতে। সংশ্লিষ্ট মামলাটি তাই খারিজ করার আর্জি জানিয়েছে তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রাচীন স্থাপত্য নিয়ে নয়া-নয়া বিতর্কের অবকাশ নেই। সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবক নয়, দিল্লিতে কুতুব মিনার তৈরি করেছেন রাজা বিক্রামাদিত্য। শুনতে অবাক লাগলেও আজ্ঞে এটাই সত্যি। এমন অদ্ভুত দাবি করেছিলেন Archaeological Survey of India-এর প্রাক্তন এএসআই অফিসার ধরমবীর শর্মা।
প্রাক্তন ওই আধিকারিকের দাবি, এটা আসলে কুতুব মিনার নয়, এটা আসলে একটি ‘sun tower’। পঞ্চম শতকে রাজা বিক্রমাদিত্য এই মিনার বানিয়েছিলেন। আমার কাছে এ বিষয়ে অনেক প্রমাণ আছে।” প্রাক্তন এএসআই-এর হয়ে তিনি অনেক বার কুতুব মিনারের সমীক্ষাও করেছেন বলে দাবিও করেন।
আরও পড়ুন: এবার বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অভিষেক, আজ পুজো দিয়ে বুধেই ফিরবেন শহরে
তিনি আরও বলেন, এই মিনারটি প্রায় ২৫ ইঞ্চি হেলানো রয়েছে। তার কারণ ২১ জুন সূর্যের অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য এই মিনারটি বানানো হয়। সূর্যের আলোয় যাতে মিনারের কোনও ছায়া না পড়ে সেই ভাবেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বানানো হয়েছিল এই মিনার।