বাংলার খবর
অভাবের সংসারে উচ্চশিক্ষার আসায় মেধাবী ছাত্রী দীপিকা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অভাবের সংসারে মেধাবী ছাত্রী। উচ্চমাধ্যমিকে প্রায় ৯৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেও উচ্চশিক্ষার খরচ নিয়ে চিন্তায় মাথাভাঙা ১ ব্লকের বৈরাগীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত বাংলাদেশ ঘেঁষা চেনাকাটা গ্রামের কৃতি ছাত্রী দীপিকা বর্মন।
দীপিকার বাবা সুনীল বর্মন দিনমজুর। মা স্বপ্না বর্মন গৃহবধূ। সামান্য কৃষি জমির ওপর নির্ভর করে সংসার চলছে তাঁদের। দিনমজুরির পাশাপাশি মেলায় ঘুরে ক্যালেন্ডারও ফেরি করেন তিনি। তবে মেয়ের পড়াশোনার খরচ নিয়ে কোনওদিন আপস করেননি। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় সব বিষয়ে টিউশনিও জোটেনি দীপিকার। প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর জেদকে সম্বল করে যাবতীয় প্রতিকূলতাকে হেলায় হারিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে মোহনপুর সাবিত্রী বিদ্যামন্দির থেকে কলা বিভাগে ৪৭৯ নম্বর পেয়ে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে সে। তার এই রেজাল্টে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, গৃহ শিক্ষক থেকে স্থানীয় মানুষরাও। দারিদ্র আর অনটনের কথা মনে করে খুশির দিনেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে গিয়ে যেন গলা ধরে আসে দীপিকার।
তাঁর ইচ্ছে শিক্ষকতা করার। তবে উচ্চমাধ্যমিকে এত ভালো ফল করা সত্ত্বেও এরপর মেয়েকে কিভাবে পড়াশোনা করাবেন সেই দুশ্চিন্তায় দিশেহারা বাবা। মেয়ের পড়াশোনার মাঝে আর্থিক সমস্যা যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেজন্য সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, এই খবর পাওয়ার পরেই মাথাভাঙ্গা মহিলা সমাজ কল্যাণ সংঘের পক্ষ থেকে সংস্থার কর্ণধার অঙ্কিতা দেব বর্মন দীপিকার বাড়িতে যান সম্বর্ধনা দিতে। সম্বর্ধনার পাশাপাশি তাঁকে মিষ্টিমুখ করানো হয় ও তার হাতে ভালো কিছু বই তুলে দেওয়া হয় এবং বেশ কিছু সাহায্য করা হয়।
দীপিকার উচ্চশিক্ষায় যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য আগামী দিনে তাঁর পাশে থাকার কথা বলেছে প্রধান শিক্ষক। এদিকে সম্বর্ধনা পেয়ে খুশি মেধাবী ছাত্রী দীপিকা ও তার পরিবার।