ভাইরাল খবর
বিধানসভায় পাশ বিএসএফ-এর সীমানা বৃদ্ধির প্রতিবাদে আনা প্রস্তাব, উদয়নের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিতর্ক ও উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল বিএসএফ এর সীমানা বৃদ্ধির প্রতিবাদে আনা প্রস্তাব। আজ বিধানসভায় এই নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর রাজ্যের শাসকদলের আনা এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রত্যাশামতোই ১১২-৬৩ ভোটে জিতে যায় শাসক দল। শাসক দলের পক্ষে এই আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়, রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবীর ও দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। বিরোধী শিবিরের হয়ে প্রস্তাবের বিপক্ষে বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। এদিনের এই আলোচনায় শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে প্রবল হইহট্টগোল শুরু হয়। কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে সেই জেলারই দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর মধ্যে বাধল গোলমাল বেঁধে যায়। বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে চরম আপত্তিকর ও অশালীন মন্তব্য করেন উদয়ন গুহ। তার এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা।
দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় চরম বাকবিতণ্ডা। সেই সময়, নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামীর উদ্দেশে কিছু বলেন উদয়ন গুহ। পাল্টা জবাব দেন মিহিরও। তার পরেই দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় উদয়ন গুহ নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়কের উদ্দেশ্যে আবারও হুমকিসুলভ বিতর্কিত মন্তব্য করেন উদয়ন গুহ। সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি বিধায়করা তীব্র বিরোধিতা করে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উদয়ন গুহর এই ধরনের মন্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই আপত্তিকর মন্তব্য দুটি বিধানসভার রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানান বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি মেনে আপত্তিকর মন্তব্য দু’টি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। যদিও তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন উদয় গুহ। এদিন প্রস্তাবের বিপক্ষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বিএসএফের সীমান্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক। প্রয়োজনে এই সীমান্ত বৃদ্ধির পরিমাণ ৮০ কিলোমিটার করা হোক।
আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব তাঁরাও যেন এই প্রস্তাবে আমাদের সঙ্গে গলা মেলান। সংবিধানের ১৬৯ ধারায় এই প্রস্তাব পাশ হলেও, তার কোনও মূল্য নেই। কারণ এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে সব প্রস্তাব পাশ করেছে রাজ্য, সেই সব প্রস্তাবগুলোর যে অবস্থা হয়েছে, এ ক্ষেত্রেও তাই হবে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উচিত প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির অপেক্ষা করা।’ প্রস্তাবের পক্ষে বলতে গিয়ে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছে, বিধানসভা ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর ঘুরপথে রাজ্যে দ্বৈত শাসন চালাতেই বিএসএফের এই এক্তিয়ার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।