ভবানীপুরের এক হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার অপহৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ!
Connect with us

বাংলার খবর

ভবানীপুরের এক হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার অপহৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ!

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ :  বালিগঞ্জের কাঁকুলিয়া রোডের কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি হত্যাকাণ্ডের পর আবারও শহরে রহস্যজনকভাবে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সোমবার রাতে ভবানীপুরে পিজি হাসপাতালের নিকট এক হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যর মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক যুবক মৃত ওই ব্যবসায়ীকে নিজের কাকা পরিচয় দিয়ে ভবানীপুরের ওই হোটেলে ঢোকেন।

তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ব্যক্তির হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান। হোটেলে একাই ছিলেন শান্তিলাল বৈদ্য। তাঁর পরিবারের দাবি, সন্ধ্যে নাগাদ মুক্তিপণ চেয়ে তাঁদের কাছে ফোন আসে। সেই ফোন পেয়ে তারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পরই পুলিশ তদন্তে নেমে ওই ফোন নম্বর দেখে মোবাইলের টাওয়ারের সূত্র ধরে ভবানীপুরের ওই হোটেলে পৌঁছয়। এবং হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় শান্তিলাল বৈদ্যর মৃতদেহ। তাঁর গলায় টেলিফোনের তার প্যাঁচানো ছিল। জানা গিয়েছে, পুলিশকে খবর দেওয়ার আগেই অপহরণকারীদের কথামতো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সাউথ গেটের সামনে একটি হলুদ রঙের ট্যাক্সিটি ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে আসেন মৃত ব্যবসায়ী পরিবারের লোকেরা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যায় দোকান থেকে ছেলেকে নিয়ে লি রোডের বাড়িতে ফেরেন শান্তিলাল বৈদ্য।

তিন তলা বাড়ির মাঝের তলায় স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূ কে নিয়ে থাকতেন শান্তিলালবাবু। তারপরই পান কিনতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর সন্ধ্যা নাগাদ মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীদের ফোন আসে বাড়িতে। স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে অপহরণকারীদের কথামতো ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও দেন পরিবারের লোকেরা। তারপরও শান্তিলাল বাবু বাড়ি না ফেরায় পুলিশে খবর দেন পরিবারের লোকেরা। অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। কিন্তু তারপরেও রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তাহলে কি মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল? মুক্তিপণ চাওয়ার পরও কেন খুন করা হল শান্তিলাল বাবুকে? আর মুক্তিপণ তো পরিবার দিয়েও দিয়েছে বলে দাবি করেছে! তারপরও কেন খুন? লালবাজারের হোমিসাইড শাখা মামলার তদন্ত শুরু করেছে। শহর জুড়ে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও অধরা অভিযুক্ত। পরিবারের লোকজন ও হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.