বাংলার খবর
ঘিঞ্জি পরিবেশ, গাড়ি ঢুকতে বাঁধা! মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ইতিহাসে ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম ঘাঁটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। দিন বদলালেও বদল হয়নি মহকুমা শহর ঘাটালের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কুঠি বাজারের। বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে সেখানে হঠাৎ আগুন লাগলে নিরুপায় ভাবে তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই দেখতে হয়। গজিয়ে ওঠা অসংখ্য দোকানের জন্য বাজারের মূল রাস্তা এতটাই সরু হয়ে গিয়েছে যে দমকলের গাড়ি পর্যন্ত ঢুকতে পারেনা।
ঘাটালের প্রাচীন প্রধান বানিজ্য কেন্দ্র এই কুঠিবাজারে কয়েকশো দোকান। ওলিগলি দিয়ে হাঁটাচলার সময় গা ঘেঁষাঘেঁষি করে যাতায়াতের ছবি সকলের কাছেই স্পষ্ট। বাজারের ভেতর এদিক ওদিক তাকালেই কেবলই পসরা, তারউপর প্রতিদিনই গজিয়ে উঠছে নিত্যনতুন দোকান, চলাচলের রাস্তা সরু থেকে আরো সরু হচ্ছে, উপর দিকে তাকালেই মাথার উপর মাকড়সার জালের মত ইলেকট্রিক তার। যে কোনও মুহূর্তে শর্টসার্কিট বা অন্য কোনওভাবে এই বাজারে আগুন লাগার মত যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যায় তাহলে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঢোকার রাস্তা কোথায়? তাহলে কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে সেই র্দুঘটনার দৃশ্য? নাকি বিকল্প কোনো ব্যবস্থা হাতের নাগালে তৈরি রাখতে হবে? এই আতঙ্কেই প্রতিদিন ভুগছেন ক্রেতা থেকে শুরু করে দোকানীরাও।
প্রশ্ন আরো রয়েছে, প্রতিদিন কয়েকহাজার মানুষ এই বাজারে ঢোকেন তাঁদের নিত্য প্রয়োজনে, উৎসবের দিনগুলিতেতো মেলার মত ভিড়, ভেতরে যদি কেউ হঠাৎ কোনও কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে অ্যাম্বুলেন্স তো দুরের কথা টোটো পর্যন্ত ঢুকতে পারবে না, অসুস্থকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে মেন রাস্তা পর্যন্ত গেলে তবেই অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানো যাবে। এই দৃশ্য একটু কাল্পনিক ভাবে যে কেউ ভেবে দেখলেই কার্যত আঁতকে উঠবেন অনেকেই। সরকার আসে সরকার যাই কিন্তু আপদকালীন ব্যবস্থাটা এখানে নাই। এই নিয়ে ঘাটালের চেয়ারম্যান, ফায়ার ব্রিগেডের অফিসার, কুঠিবাজারের দোকানদার সহ অন্যান্যরা কে কি জানিয়েছেন সেটা দেখাবো আপনাদের।
ঘাটালের ইতিহাস নিয়ে নানা চর্চা করতে গিয়ে জানা গিয়েছে ইংরেজ শাসন শেষে এই বাজার চলে যায় এক মাড়োয়াড়ির হাতে। তৈরি হয় ট্টাস্ট। ওই ট্রাস্টই এখন কুঠি দেখভাল করে। কিন্তু কুঠি বাদে বাজারের অন্যান্য দিক দেখভাল করে ঘাটাল পৌরসভা। ঘাটাল পৌরসভার পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হলেও বিরোধীদের বক্তব্য এমন কথা বারবার শুনিয়েছে শাসক দল। বাস্তবে লাভ হয়নি কিছুই। শাসক-বিরোধী যাই বলুক না কেন, সুদিনের অপেক্ষায় আজও প্রহর গুনছে ঘাটালের ব্যবসায়ীরা থেকে শুরু করে সেখানকার বাসিন্দারা।