কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে বাঁধতে পারে রক্ত জমাট, দাবি গবেষণায়
Connect with us

আন্তর্জাতিক

কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে বাঁধতে পারে রক্ত জমাট, দাবি গবেষণায়

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না। টানা দু’বছর Covid 19 এর হামলায় বিপর্যস্ত জনজীবন। অতিমারির সেই সঙ্কটময় দিনগুলি কাটিয়ে ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে গোটাবিশ্ব। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধকে মান্যতা দিয়ে ধীরে-ধীরে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়, অফিসকাছাড়ি এমনকি সমস্ত রকমের গণপরিবহণ ও পর্যটন কেন্দ্রগুলি।

যদিও এরই মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অদৃশ্য এই ব্যাধির নতুন ভ্যারিয়ান্ট। ইতিমধ্যে বিশ্বের বেশকিছু দেশে সন্ধান মিলেছে করোনার XE’ভ্যারিয়েন্টের। যা আগের BA.1 এবং BA.2 স্ট্রেনের থেকেও বেশি সংক্রামক বলে দাবি করা হয়েছে। একদিনে করোনার আঁতুড়ঘর চিনেও যখন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে হুহু করে বাড়ছে Covid 19 সংক্রমণ তখন এই অদৃশ্য ভাইরাস নিয়ে ফের আশঙ্কার কথা শোনাল একটি গবেষণার রিপোর্টে।

আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্ধারিত সময়ের আগেই মুলতুবি সংসদের অধিবেশন

Advertisement

এই বিষয়ে BMJ এর মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, যারা আগে থেকেই কোভিড সংক্রামিত হয়েছেন তাঁদের ফের ছয় মাসের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এর আগের গবেষণা ইঙ্গিত দিয়েছে যে, কোভিড রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়, তবে বিএমজে মেডিকেল জার্নালে নতুন গবেষণা দেখিয়েছে যে এই আশঙ্কা কতক্ষণ স্থায়ী হতে পারে খুঁজে বের করার জন্য, গবেষকরা সুইডেনের জাতীয় রেজিস্ট্রিগুলির এক মিলিয়নেরও বেশি লোকের ডেটা তুলনা করেছেন যারা ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে মে ২০২১ পর্যন্ত কোভিড সংক্রামিত হয়েছিলেন।

শুধু তাই নয়, ওই গবেষণায় আরও দেখানো হয়েছে যেসমস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে Covid 19 এর বেশকিছু লক্ষণ রয়েছে তাঁরাও এই রক্ত জমাট বাঁধার মতন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে যাঁদের সমস্যা অতটাও গুরুত্বর নয়, তাঁদের হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে সমস্যা বেশি হলে নিজে থেকে কোনও ওষুধ না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও করোনা মহামারী শুরুর প্রথম দিকে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও বর্তমানে গণটিকাকরণ এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার ইমিউনিটি পাওয়ার তৈরি হয়ে যাওয়ায় এখন এই আশঙ্কা অনেকটাই দূর হয়েছে।

আরও পড়ুন: নাকাচেকিং-এর সময় ব্যাগ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ STF-এর, গ্রেফতার দম্পতি

Advertisement

গবেষকরা বলছেন, তাঁদের এই গবেষণার ফলাফলগুলি “প্রধান নীতিগত প্রভাব” রয়েছে। বিশেষত উচ্চ ঝুঁকির ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করার জন্য দ্রুত চিকিত্সার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।