আন্তর্জাতিক
চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, ২১ কোটি জনতাকে গৃহবন্দি করল চিন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বছর ঘুরতে না ঘুরতে ফের বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনা অতিমারি। মারণ ব্যাধির সংক্রমণের জেরে বিপর্যস্ত করোনার আঁতুড়ঘর চিন। ফের বেজিং-এ হু-হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের দাপট।
বুধবার চিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ফের সেদেশে নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড সংক্রমণের। মিলছে করোনার নতুন নতুন প্রজাতির সন্ধান। জানা গিয়েছে, চিনে ৬,০৭৪ টি নতুন কোভিড কেস ধরা পড়েছে। যার মধ্যে ৩৮৪ টিতে ভাইরাসের উপসর্গ মিললেও প্রায় ৫,৬৯০ টি কোভিড কেস ধরা পড়েছে। যেগুলি সবই উপসর্গহীন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, এক দিন আগেই ৭,৮২২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার মধ্যে ৮৬৫টি ছিল কোভিডের লক্ষণযুক্ত এবং ৬,৯৫৭ টি উপসর্গবিহীন ছিল। আরও জানা গিয়েছে, সংক্রমণ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে চিনের ২১ কোটি মানুষকে গৃহবন্দি করে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন রক্ষাকবচ! রুশ হামলা থেকে প্রাণে বাঁচলেন ইউক্রেনীয় সেনা
২০১৯ সালের সেই ভয়াবহ স্মৃতি যাতে কোনও ভাবেই ফিরে না আসতে পারে তার জন্য সংক্রমণ মোকাবিলায় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ, অফিস আদালত। বন্ধ বাজারঘাট সবকিছুই। এদিকে ক্রমাগত লকডাউন আর সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে ব্যাপক মার খাচ্ছে চিনের ব্যবসা বাণিজ্য। ২০২০ সালের পর থেকে চিনের GDP-হার ক্রমশ নিম্নমুখী। বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যাও।
সাংহাইতে কঠোর লকডাউন। বেজিংয়েও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এপ্রিল মাসে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং বেশ কয়েকটি পাবলিক ইভেন্টে যোগ দিয়েছিলেন। তবে করোনা এবং লকডাউন সম্পর্কে কোনও বিবৃতি দেননি তিনি সেই সময়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধচারণ, মস্কোয় নিষিদ্ধ জাপানের প্রধানমন্ত্রীর
চিনে মোট ২৬টি শহরে লকডাউন। চিনের প্রশাসন ৭৫ লাখ সরকারি কর্মীকে পণ্য সরবরাহের কাজে লাগাচ্ছে। জিজিংইয়ান, জিলিন, সাংহাই, বেইজিং সহ ৮টি প্রদেশে প্রায় দুমাস ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। ওমিক্রন ভাইরাসের কারণে সংক্রমণ কমছে না। জিনপিং সরকার শিশুদের করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।