বাংলার খবর
গাংনাপুর গণধর্ষণে কবর থেকে দেহ তুলে আবার ময়নাতদন্তের নির্দেশ আদালতের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আনিস খানের পর এবার রানাঘাটের গাংনাপুর গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কবর থেকে দেহ তুলে দ্বিতীয়বারের জন্য ময়না তদন্ত করবে পুলিশ। ১১ মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। সেই সঙ্গে কেস ডায়েরি পেশ করতে হবে আদালতে। পাশাপাশি, নির্যাতিতার মায়ের জবানবন্দি দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করবেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার।
আরও পড়ুনঃ আনিস খান হত্যাকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি আইনজীবীর
গত ৬ মার্চ গণধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে নদিয়ার গাংনাপুর থানার মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কামারবেড়িয়া গ্রামের গৃহবধূকে। ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন ওই নির্যাতিতা। স্বামী কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকেন। অভিযোগ, গত ৬ মার্চ রাত ১১টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবার শ্বশুরবাড়িতে আসেন। তাদের অভিযোগ, নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নিলেও দু’বার তাঁদের বাধা দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপর কোনওরকমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই নির্যাতিতাকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এক নার্সিংহোমে। ওই নার্সিংহোমে সাতদিন থাকার পর কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকেয়। সেখানেই গত ১৪ মার্চ দুপুরে মারা যান ওই গৃহবধূ।
আরও পড়ুনঃ দাবদাহ থেকে বাঁচতে মর্নিং স্কুলের নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দফতরের
এরপর গাংনাপুর থানায় বারবার অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলেই দাবি করেন নির্যাতিতার মা। বাধ্য হয়ে গত ২১ এপ্রিল রানাঘাট মহকুমা আদালতের এক আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে গাংনাপুর থানার পুলিশ। এফআইআর দায়ের হয়। ঘটনায় মোট ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনারই তদন্তের স্বার্থে কবর থেকে দেহ তুলে আবার মৃতার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।