কাজ সেরে ফেরা হল না বাড়ি, মাঝ রাস্তাতেই দম্পতির সঙ্গে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা
Connect with us

বাংলার খবর

কাজ সেরে ফেরা হল না বাড়ি, মাঝ রাস্তাতেই দম্পতির সঙ্গে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা

Parama Majumder

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক ঘটনা। ঠেলাগাড়ি করে দোকান নিয়ে আর ফেরা হল না বাড়ি। মাঝ রাস্তাতেই পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক দম্পতি। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি এলাকায়। আচমকা এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতদের পরিবারে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, পেশায় ব্যবসায়ী মৃত ভানু মণ্ডল (৫০) ও কল্পনা মণ্ডল (৪৫) এদিন ময়নাগুড়ির জল্পেশ মেলায় দোকান করে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় ময়নাগুড়ির ইন্দিরা মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি লরি তাঁদের পিছন দিক থেকে এসে ধাক্কা মারে। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁদের দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়।

আরও জানা গিয়েছে, মৃত ভানু মল্লিক এবং কল্পনা মল্লিক ময়নাগুড়ির হাসপাতাল পাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ভানু মল্লিক ও তার স্ত্রী কল্পনা মল্লিক পেশায় ব্যবসায়ী। প্রতিদিনই ঠেলা গাড়িতে করে তাঁরা পেয়ারা বিক্রি করেন। জল্পেশ মেলায় প্রত্যেক দিন যান এবং মেলা শেষ করে আবার ফিরেও আসেন বাড়ি। কিন্ত শুক্রবার গভীর রাতে মেলা থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁদের। এদিন রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে ময়নাগুড়ির ইন্দিরা মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি লরি পিছন দিক থেকে ধাক্কা মারে তাঁদের। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে ময়নাগুড়ির গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁদের দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, শনিবার তাঁদের মৃতদেহ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, লরিটিকে আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশ।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.