বাংলার খবর
ত্রিকোণ প্রেমের জেরে মর্মান্তিক পরিণতি যুগলের, চাঞ্চল্য এলাকায়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার সুবোধপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, এক গৃহবধূ ও তাঁর প্রেমিকের মৃতদেহ একই শাড়ির দুই প্রান্তে ঝুলছিল। রবিবার সুবোধপুর এলাকার শ্মশানের একটি বাবলা গাছ থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শ্মশানের পাশে থাকা একটি বাবলা গাছের ডালে ওই যুগলদের প্রথমে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাঁরাই বিষয়টি সবার আগে দেখতে পেয়ে খবর দেন ভগবানপুর থানার। এরপর পুলিশ এসে মৃত দেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম সোনামনি প্রধান। তাঁর একটি তিন বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। মৃতের স্বামীর বাড়ি খাগা এলাকায়।
আরও পড়ুন: ঘনঘন আগুন লাগছে বাড়িতে, ভূতের আতঙ্কে কাঁটা ঝাড়্গ্রামবাসী
সূত্রের খবর, ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ি বাবিয়া গ্রাম থেকেই শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। অপর দিকে মৃত যুবকের নাম প্রশান্ত সামন্ত। বাড়ি পশ্চিম ঘোষপুর এলাকায়। এদিকে খবর পেয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ভগবানপুর থানার পুলিশ। তবে, এটি আত্মহত্যা না এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়াও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভগবানপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্কুল টাইমে রাস্তায় বড্ড ট্র্যাফিক জ্যাম, অভিযোগ জানাতে সটান থানায় হাজির খুদে
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে কাঠের বাটাম দিয়ে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মহিষাদলের ইটামগরা- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনপুর জালপাই এলাকায়। জানা গিয়েছে মৃতের নাম তনুশ্রী দাস(৩৫)। রবিবার সকালে তাঁর স্বামী মাথায় কাঠের বাটাম দিয়ে সজোরে আঘাত করে এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। পরে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং নিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তবে এই ঘটনায় দুপুরেই থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মহিলার স্বামী অমল দাস।