দেশের খবর
১৮ বা তার বেশি বয়সীদের জন্য বুস্টার ডোজ হিসেবে অনুমোদন পেল করবেভ্যক্স
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বায়োলজিক্যাল ই-এর করোনা ভ্যাকসিন করবেভ্যাক্স-কে (Corbevax) ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য বুস্টার ডোজ হিসেবে অনুমোদন পেল। ওই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকে শনিবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জরুরী পরিস্থিতিতে সীমিত ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ডের প্রাথমিক দু’টি ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে করবেভ্যাক্স তাদের দেওয়া যেতে পারে। করবেভ্যাক্স ভারতের প্রথম হেটেরোলগাস কোভিড বুস্টার বলে দাবি করেছে ওই সংস্থা।
বায়োলজিক্যাল ই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহিমা দাতলা শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা এই অনুমোদনে খুব খুশি। যা ভারতে কোভিড ১৯ বুস্টার ডোজগুলির প্রয়োজনীয়তার সমাধান করবে। আমরা আমাদের কোভিড-১৯ টিকা যাত্রায় আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করলাম। এই অনুমোদনে আবারও টেকসই বিশ্বমানের নিরাপত্তা মান এবং কর্বেভ্যাক্সের উচ্চ ইমিউনোজেনিসিটিকে প্রতিফলিত করবে।’
করবেভ্যাক্সের বুস্টার ডোজ অ্যান্টিবডি টাইটারের নিরপেক্ষকরণ বা দ্রবণে একটি পদার্থের পরিমাণ বা ঘনত্বের পরিমাপ- কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন গ্রুপে প্লাসিবোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে বলেই দাবি করেছে ওই সংস্থা।
ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিজিআই গত এপ্রিলের শেষের দিকে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য করবেভ্যাক্স কে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল। ততদিন পর্যন্ত, ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হয়েছিল। বায়োলজিক্যাল ই গত মে মাসে ব্যক্তিগত টিকাদান কেন্দ্রগুলির জন্য পণ্য ও পরিষেবা কর সহ, করবেভ্যাক্স-এর দাম ৮৪০ থেকে কমিয়ে ২৫০ করেছে।গত মার্চ মাসে যখন ভারতে ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল, তখন করবেভ্যাক্স ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়েছিল এবং সরকারের টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য এর মূল্য ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
করবেভ্যাক্স-এর মানোন্নয়নে টেক্সাস চিলড্রেন’স হাসপাতাল এবং বেলর কলেজ অফ মেডিসিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল বায়োলজিক্যাল ই। টিকা দেওয়ার জন্য জরুরি অনুমোদন প্রাপ্তির আগে, সংস্থাটি জানিয়েছিল, এটি ৫-১২ এবং ১২-১৮ বছর বয়সী ৬২৪ টি শিশুর মধ্যে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায় মাল্টি-সেন্টার ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হয়েছে।
যখন করবেভ্যাক্স গত মার্চ মাসে ১২-১৪ বছরের গ্রুপের জন্য চালু করা হয়েছিল, তখন টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তাদের ভ্যাকসিনের দাম সামর্থ্যের মধ্যেই রাখা তাদের মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি।
এই ভ্যাক্সিনকে “সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের” ভ্যাকসিন বলেও দাবি করেছে তারা।