রাজনীতি
রাজ্য বিজেপিতে কোন্দল বাড়ছে, এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন বিধায়ক হিরণ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : রাজ্য বিজেপিতে কোন্দল বাড়ছে। গত বিধানসভা ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকেই ভাঙতে শুরু করেছে বিজেপি। একের পর এক নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। বেশ কিছু বিধায়কও দল ছেড়ে শাসকদলে যোগ দিয়েছেন। কোন্দল সামাল দিতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে।
তাঁকে সরিয়ে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। রাজ্য সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার পর সমস্ত সাংগঠনিক পদে পরিবর্তন করে কোন্দল সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় কোন্দল থামার পরিবর্তে কোন্দল আরও বেড়ে গিয়েছে। রাজ্য এবং জেলার সাংগঠনিক পদে মতুয়া সম্প্রদায়ের কাউকে না রাখায় মতুয়া সম্প্রদায়ের পাঁচ বিধায়ক বিজেপির সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন। এমনকি গ্রুপ ছেড়ে দেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এবার বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হিরণ। খড়্গপুর সদর থেকে দাঁড়িয়ে জয়ী হন হিরণ। বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মতবিরোধ বাঁধে। কোনও দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকা হয় না বলেও। এমনকি দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও তাঁর মতবিরোধ বাঁধে। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে হিরণ জানিয়েছেন, ‘দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি আমার কেন্দ্রে এসে যখন ইচ্ছা সভা করেন, কর্মসূচি সাজান। আমি কিছু জানানোও হয় না। আমাকে ডাকাও হয় না।’ যদিও হিরণের অভিযোগের পাল্টা উত্তরে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দল যেরকম কর্মসূচি সাজিয়ে দেয়, তিনি তা মেনে চলেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ায় এবারে হিরণেরও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।