বাংলার খবর
PK-কে নিয়ে প্রয়োজনের থেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে: অধীর চৌধুরী
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পিকে একজন ভোট কুশলী। নির্বাচন এলেই সে তার প্রোডাক্ট নিয়ে হাজির হয়। যে পয়সা দেয় তার হয়ে কাজ করে। কেউ কেনে, কেউ কেনে না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কোটি কোটি টাকা দিয়ে তার প্রোডাক্ট কিনেছেন। কাজেই পিকে একজন ব্যবসায়ী। কাজেই পিকে কে নিয়ে প্রয়োজনের থেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে এবং আওয়াজ উঠছে। সোমবার বহরমপুরে ঠিক এভাষাতেই প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে মন্তব্য শোনা গেল অধীর চৌধুরীর গলায়।
তিনি বলেন, ” হিংসা এই বাংলায় স্থায়ী রুপধারন করেছে। হিংসা ও দুর্নীতি এই বাংলায় প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে গিয়েছে। তাই ভোটের আগে হিংসা আছে। ভোট চলাকালীন হিংসা আছে এবং ভোটের পরে হিংসা আছে। হিংসায় রাজ্যের মানুষ জর্জরিত। কিন্তু খারাপ লাগে এটা দেখে, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির বাংলায় কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি।”
আরও পড়ুন: হাঁসখালি ঘটনায় উল্টে বিপাকে বিজেপি, হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা
”পাটশিল্প এবং পাটচাষিদের নিয়ে অর্জুন সিংয়ের বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত। কারণ মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং অসম ও ওড়িশায় প্রচুর পাট উৎপন্ন হয়। পাট শিল্পের সঙ্গে ৪০ লক্ষ চাষি ও ৪ লক্ষ শ্রমিক জড়িয়ে আছে। অথচ এই রাজ্যে পাটশিল্প ধ্বংসের মুখে।”
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বর্ষপূর্তি, ‘মা-মাটি-মানুষকে’ উৎসর্গ করলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, ”দিদির ঘোষিত নীতি ভোট করতে দেওয়া হবে না। ভোট না করে জিতে যাওয়ার নাম তৃণমূল সরকার। ভোট না করে জিতে যাওয়ার প্রক্রিয়ার স্রষ্টা তৃণমূল ও তার নেত্রী। তাই এই বাংলায় দুটো ভোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পঞ্চায়েত ও পুরসভায় সিলেকশন হবে। বিধানসভা ও লোকসভায় ইলেকশন হবে। এখানে ভোটের টিকিটের জন্য টেন্ডার হবে। যে বেশি টাকা দেবে সে টিকিট পাবে। জেতানোর দায়িত্ব পুলিশ, প্রশাসন এবং তৃণমূলের।”