বাংলার খবর
কাপড়ের দাম নিয়ে বচসা, মহিলাকে খুন করার অভিযোগ উঠল বিক্রেতার বিরুদ্ধে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কাপড়ের দাম নিয়ে বচসা। মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল কাপড় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে! ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির শীতলাতলা এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলবার রাত থেকেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাপড়ের দাম বাবদ ৭০০ টাকা চাওয়ায় ক্রেতার সঙ্গে বচসা হয় কাপড় ব্যবসায়ীর। অভিযোগ কাপড় ব্যবসায়ী ক্রেতাকে ধাক্কা মারেন। পড়ে গিয়ে ওই মহিলার মাথায় চোট লাগে। তাতেই ওই মহিলার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। মৃত ওই মহিলার নাম শান্তি বর্মন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনজেপি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ এক মহিলাকে গ্রেফতার করলেও বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই প্রতিবেশী সুজিত কর্মকার এবং শ্যামল কর্মকারের থেকে ধারে কয়েকটি শাড়ি কিনেছিলেন শান্তি বর্মন। সেই শাড়ি বাবদ তাঁরা শান্তি বর্মনের থেকে ৭০০ টাকা পেতেন। সেই টাকা নিতেই মঙ্গলবার রাতে তাঁরা বাড়িতে আসেন বলে দাবি করেছেন মৃতার স্বামী রঞ্জিত বর্মন। তিনি জানিয়েছেন, ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে একজন মহিলাও ছিলেন। তিনি আরও জানান, ওই কাপড় ব্যবসায়ীদের তিনি ৫০০ টাকা দিতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করেন সুজিত ও শ্যামল কর্মকার। তারপরই টাকা নিয়ে শান্তি বর্মনের স্বামীর সঙ্গে বচসা শুরু হয় পাওনাদারদের। বচসা চলাকালীনই তাঁরা শান্তি বর্মনকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ। ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান শান্তি। তারপরই তাঁর স্বামী তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শান্তি বর্মনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনজেপি থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হালকা লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুলিশ শান্তি বর্মনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ওই মহিলাকে গ্রেফতার করলেও সুজিত ও শ্যামল কর্মকার পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।