বাংলার খবর
কেকে-র প্রয়াণে শিক্ষা নিয়ে নজরুল মঞ্চে বন্ধ কলেজ ফেস্ট! ঈঙ্গিত মেয়রের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নজরুল মঞ্চে স্কুল-কলেজের ফেস্ট করা নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিল কেএমডিএ। মঙ্গলবার বলিউডের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কেকে-এর অকালপ্রয়াণের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নজরুল মঞ্চে কলেজ ফেস্ট চিরতরে বন্ধ করার পথেই হাঁটতে চলেছে প্রশাসন! এমনই ইঙ্গিত দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের ফেস্টে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কেকে। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরেই অসুস্থ বোধ করায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিএমআরআই হসপিটালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিল্পীর এই অকাল প্রয়াণে গোটা দেশের পাশাপাশি শোকস্তব্ধ গোটা কলকাতা। কেকে-এর মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করে দিয়েছে হাজারও প্রশ্ন। কেকে-এর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই নজরুল মঞ্চের ব্যবস্থাপনা ও আয়োজকদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগও উঠছে। মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের কারণে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে এসি বন্ধ থাকারও। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, তদন্তে নামছে কেএমডিএ।
এদিন মেয়র বলেছেন, ‘কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কেকে-কে নিয়ে একটা আলাদা উন্মাদনা আছে। যে কলেজের জন্যই নজরুল মঞ্চ বুকিং করতে গিয়ে জিজ্ঞেস করি কে আসবে? উত্তর আসে, কেকে আসবে। জনপ্রিয়তা এমনই যে, তরুণ ব্রিগেড কেকে-কে একদম ছেঁকে ধরে। কালই কেএমডিএ-র তরফে কলেজগুলোকে আর নজরুল মঞ্চ না দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল আমায়। কারণ ওরা সিটের উপর উঠে নাচানাচি করে। সিটগুলো অর্ধেক ভেঙে যায়। কাল এসি ঠিক মতো কাজ না করার যে অভিযোগ উঠছে, তা ঠিক নয়। নজরুল মঞ্চের এসি যথেষ্ট ভালো। কিন্তু ২ হাজার সাতশোর জায়গায় যদি সাত হাজার লোক ঢুকে পড়ে, তাহলে কী হবে! অত্যধিক ভিড়ে গরম তো লাগবেই। শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হবে। পাঁচিল টপকেও লোক ঢুকেছে। আটকানো যায়নি জনস্রোতকে। তাই এবার ব্যাপারটা নিয়ে আমরা ভাবনা চিন্তা করছি।’ কেকের মৃত্যু প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, মঞ্চে পারফর্ম করার সময়ই ব্যথা অনুভব করেছিলেন কেকে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠান করার সময় বারংবার ব্যাকস্টেজে গিয়ে ঘাম মুছতে দেখা গিয়েছিল কেকে-কে। একটা সময় কষ্ট হচ্ছে বলে হলের এলইডি লাইট বন্ধ করেও দিতে বলেন। যদিও নজরুল মঞ্চের এক কর্মী এসি বন্ধ থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, হলের আসন সংখ্যা ২ হাজার ৪৮২। সেখানে মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে হলে প্রায় ৮ হাজার জনের ভিড় হয়েছিল। মঞ্চের উপরেও দু’দিকে লোক দাঁড়িয়ে ছিল। এসি বন্ধ ছিল না। অত ভিড় হওয়ায় এসি কাজ করছিল না। হলের সাতটা দরজার মধ্যে পাঁচটিই খোলা ছিল। ফলে হাওয়া বেড়িয়ে যাচ্ছিল। তাই দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলেই দাবি করেছেন তিনি।