বাংলার খবর
ধসে মৃত পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, আর্থিক সাহায্য ও চাকরির আশ্বাস

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সোমবার তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে পাহাড়ে উড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই তিনদিনের কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিনে ম্যালে GTA-এর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। পাহাড়ে উপস্থিত হয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রায় বাংলার মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার ম্যালের চৌরাস্তার মঞ্চ থেকে পাহাড়ের উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি ম্যালের মঞ্চ থেকে অমরনাথ বিপর্যয়ের কথাও বলেন তিনি। তিনি বলেন, ”অমরনাথে যারা আটকে আছেন তাঁদের আমি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছি। অমরনাথ যাত্রায় বাংলার যেসব পুণ্যার্থী প্রাণ হারিয়েছেন, এবং পাহাড়ে ধসের কারণে যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি ও দু’লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে”।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্রে নেই মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের নাম, অব্যাহত শিয়ালদহ মেট্রোর রাজনৈতিক তরজা
এছাড়াও পাহাড়ের মহিলাদের উন্নয়নের এবং তাঁদের স্বনির্ভর হওয়ার কথাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তিনি বলেন, ”দার্জিলিং-এ চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরী বাড়ানো হয়েছে। এখানকার অনেক মহিলা গাড়ি চালাতে পারেন। তাঁদের স্বনির্ভর করতে মুখ্যসচিবকে বলেছি। গতিধারা প্রকল্পে তাঁদের জন্য যাতে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে তাঁরা আরও বেশি গাড়ি চালিয়ে উপার্জন করতে পারবেন। বর্ষার জল জমিয়ে রাখুন। জমা জল দিয়ে পানীয় জলের প্লান্ট তৈরি করা হবে। দার্জিলিং-এর মেয়েদের চুল ভালো হওয়ার কারণ এখানকার সিল্ক ওয়াটার”।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ”পাহাড়ে উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়। পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য GTA নির্বাচন। পাহাড়ে শান্তি থাকলে অর্থনীতি ভালো হবে। সেই কারণেই পাহাড়ে জিটিএ চায়। পাহাড়ের মানুষ যা করতে পারেন, অনেকেই করতে পারেন না। এত শান্তিতে ভোট পাহাড়ে আগে কোনওদিন হয়নি। পাহাড়ে যারা ফুটপাথে ব্যবসা করেন তাঁদের দোকান করার পরিকল্পনা করছি। কালিম্পং, কার্শিয়াং এও উন্নয়ন হবে। মিরিকের জন্য ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প তৈরি করতে হবে। শপিং মল হবে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হবে। মংপোতে হিল ইউনিভার্সিটি হবে”।
আরও পড়ুন: GTA- এর শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে পাহাড়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ”দার্জিলিং-এ শিল্পের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। দার্জিলিং-এর আরও উন্নয়ন হবে। দার্জিলিং-এ নতুন শহর, শপিং মল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব, রেস্তরাঁ তৈরি করা হবে। দার্জিলিং-এ চা বাগান হোম স্টে তৈরি করার পরিকল্পনা। জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাহাড়ে শান্তি বজায় থাকলে আইটি ইন্ডাস্ট্রিকে এখানে আসতে অনুরোধ করব। পাহাড়ে অশান্তি হতে দেব না। পাহাড়ে পর্যটক অনেক বেড়েছে। বাংলা সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জায়গা। দার্জিলিং এ পানীয় জলের প্লান্ট তৈরি করা হবে”।