ভাইরাল খবর
কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে তৈরি হচ্ছে জামা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: কার্বন-ডাই-অক্সাইড আমরা সবাই জানি গ্লোবাল ওয়ার্মিং কিংবা বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী এই গ্যাস। আমাদের এই পৃথিবীর বাতাস এত বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে তার জন্য এই দেশগুলো বিশেষতপন্ন দায়ী সর্বপ্রথম যে দেশের নাম আসে তা হলো চীন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তারপর নাম আসে ভারতের ও রাশিয়া এবং ইউরোপের।
কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয় বেশি যে কোম্পানি থেকে তার মধ্যে এক অন্যতম কোম্পানি হল টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি। তবে এই টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি জানিয়েছেন যে কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে এখন জামা কাপড় বানানো সম্ভব। আর এই অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছে রুবি ল্যাবরেটরি তে কাজ করা দুই সাইন্টিস্ট লায়লা মাসুদ এবং নিকা মাসুদ নামক দুই বোন। তারা এই কার্বন-ডাই-অক্সাইড কে ম্যানুফ্যাকচারার করে জামা কাপড় তৈরি করছে। ওই দুই সায়েন্টিস্ট তাদের ল্যাবরেটরীতে co2 গ্যাস কে ক্যাপচার করে বায়ু নিরাকরের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া সঙ্গে কেমিক্যাল মিক্স করে তা দিয়ে উৎপাদন করছে কাপড়। তারা যে ফাইবারটি তৈরি করছেন তার নাম হল ভিসকোস। এই ভিসকোস কিন্তু কোন ন্যাচারালি ফাইবার না, এটা সম্পূর্ণ কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি। যেটা এখন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে আর্টিফিশিয়াল সিল্ক নামে পরিচিত কিংবা আর্টিফিশিয়াল রেয়ন নামেও পরিচিত। তাছাড়া অলরেডি অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড এই ফাইবার দিয়ে জামা কাপড় বানানো শুরু করে দিয়েছেন। যেমন- Zaara, h&m, Louis Vuitton, channel, Calvin Klein ইত্যাদি বিভিন্ন নামে নামি ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো। সবচেয়ে বড় কথা হলো যে এই রেয়ন অনেক ব্রেদেবেল। গরম কালের জন্য এই জামা সব থেকে শ্রেষ্ঠ। এই জামাগুলির মধ্যে খুব অনায়াসেই হাওয়া চলাফেরা করতে পারে।
আরও পড়ুন- বিশ্বের প্রথম মানব যিনি হার্ট ছাড়া বেঁচে ছিলেন
হয়তো অনেকে ভাবছেন যে এই যে আমার তৈরীর প্রক্রিয়াটা ভিন্ন তেমনি এটা তৈরি করতেও অনেক খরচা পড়েছে। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন, ওই দুই সাইন্টিস্ট বলেছেন যে “আমরা যে প্রক্রিয়ায় কাপড তৈরি করি তার ট্রেডিশনাল কাপড়ের চেয়েও অনেক কম মূল্যে পাওয়া যায়। এছাড়া এই কাপড় বায়োডিগ্রবল এই কাপড়ে পচন ধরানো সম্ভব। আর এই রিসার্চে পুরো সাড়া ফেলে দিয়েছে বিশ্বে। ইউনাইটেড স্টেট অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও তাদেরকে ৪.৫ মিলিয়ন ডলার ফান্ডিং দিয়েছে ইউ এস সরকার। যাতে ওই দুই বোন আরো ভালো করে রিসার্চ চালাতে পারে কার্বন ডাই অক্সাইড এর উপর।