বাংলার খবর
ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা বনধে জেলায়-জেলায় মিশ্র প্রভাব, পথে বেরিয়ে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দু’দিনের ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরে। রাস্তায় সরকারি যানবাহন চলছে হাতে গোনা কয়েকটি। রাস্তায় বেসরকারি যানবাহন খুবই কম পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, এগরা, তমলুক এবং হলদিয়ায়। পাশাপাশি হলদিয়া শিল্পাঞ্চলেও বনধের মিশ্র প্রভাব দেখা গেল। হলদিয়ায় কলকারখানা খোলা থাকলেও শ্রমিকের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।
এদিকে ধর্মঘট সমর্থনকারীরা হাওড়ার ডোমজুড় স্টেশনের কাছে রাস্তা ও ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়গুলোর ডাকা দেশজুড়ে সাধারন ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলায়।বেসরকারি যানবাহন রাস্তায় না নামলেও সরকারি বাস চলেছে। তবে বনধের প্রভাবে অল্প বিস্তার খুলেছে হাট বা বাজার। কিছু কিছু দোকানপাট খুলেছে। এক কথায় বলায় যায় জেলা জুড়ে তেমন বনধের প্রভাব পরেনি।
আরও পড়ুন: প্রেমে প্রতারিত, অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী যুবক
এদিকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা দেশব্যাপী সাধারন ধর্মঘট রুখতে রাজ্য প্রশাসন ছিল তৎপর। উত্তর দিনাজপুর জেলার সরকারি ও বেসরকারি বাস টার্মিনাস সহ শহরজুড়ে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সাধারন মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এবং এই রাজ্যের কর্মসংস্কতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নবান্ন থেকে আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল। বেসরকারি যানবাহনও উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জে দেখা মেলেনি। তবে পর্যাপ্ত সরকারি বাস ছিল। তবে সরকারি বাসের চালকেরা হেলমেট পড়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেন এই ছবি দেখা যায়।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের রায়গঞ্জ ডিপোর সামনে সিপিআইএম এবং বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলোর পিকেটার্সরা গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে। তবে প্রচুর পুলিশ থাকায় সরকারি বাস চলেছে। এছাড়াও রায়গঞ্জ শহরের বেশকিছু জায়গায় বনধ সমর্থনকারীরা পিকেটিং মিছিল করে। এদিকে বনধ ব্যর্থ করার ডাক দিয়ে বনধ বিরোধীতায় পথে নামে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। বনধকে ঘিরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি উত্তর দিনাজপুর জেলাতে।
অন্যদিকে রাস্তায় নেমে মেজিয়ায় খোলা দোকান বন্ধ করল ধর্মঘটীরা। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় নেমে বন সমর্থনকারীরা বন্ধ করলো একের পর এক দোকান। ধর্মঘটের প্রথম দিনে এই ছবি দেখা গেল বাঁকুড়ার মেজিয়া বাজারে। অন্যান্য দিনের মতো এদিন সকালে মেজিয়া বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান খোলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বাজারে মিছিল করার সময় ধর্মঘটীরা সেই খোলা দোকান গুলির সামনে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁদের দোকান বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: বগটুই হত্যাকাণ্ডে রবিবার থেকে জখমদের বয়ান রেকর্ড করবে CBI
পাশাপাশি মেজিয়া হাই স্কুল মোড়ের কাছে ধর্মঘটীরা এদিনের বন্ধের সমর্থনে বেশ কিছুক্ষণ রানীগঞ্জ বাঁকুড়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে। জোর করে দোকান বনধের ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ধর্মঘটীদের দাবি জোর করে কোনো দোকান বন্ধ করা হয়নি। তাঁদের মিছিল দেখেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান বন্ধ করেছেন। তৃণমূলের দাবি জোর করে চেষ্টা করলে সে ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।