বিদেশের খবর
এখন আর বিয়ে করতে চায় না চীনের লোকেরা! অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সমস্যার মুখে চীন
বেকারত্বের কারণে চীনের লোকেরা বিয়ে এবং সন্তানের থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন
বেঙ্গল এক্সপ্রেস: বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হল চীন। ২০২০ সালের মহামারী করোনার তে অনেক মানুষ অনেক কিছু হারিয়েছে। আর সে অতি মারিতেই মানুষের বেকারত্ব আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বেকারত্বের কারণে চীনের লোকেরা বিয়ে এবং সন্তানের থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
চীনের লোকেরা এখন আর বিয়ে করতে চায় না এমন কি প্রজন্মও বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন না তারা। ২০২১ সালে ৭৬ লক্ষ ৩০ হাজার যুগল বিয়ের জন্য সরকারি খাতায় নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। কিন্তু সেই অনুযায়ী ২০২৩ সালে এসে দেখা যাচ্ছে যে বিয়ের হার এর তাৎপর্য অনেক কমে গিয়েছে। ২০২২ সালে চীনের 68 লক্ষ 30 হাজার যুগল বিয়ে করেছিলেন ২০২২ এর তুলনায় এই বছর ১০.৫ শতাংশ কমে গিয়েছে বিয়ের হার। ১৯৮৬ সালের পর থেকে এত কম বিয়ে নথিভুক্ত কখনো হয়নি। চীনে সবথেকে বেশি বিয়ে হয়েছিল ২০১৩ সালে সেই বছর দেড় কোটি মানুষ বিয়ে করেছিল। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বিয়ের হাড় যেন কমতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-টেলিপারার প্রথম সাড়িতে কোন নায়িকারা রয়েছেন জানেন? এবং তাদের উপার্জন বা কত!
শুধুমাত্র যে বিয়ের হার কমছে তা না, চীনে জন্মহার ও কমে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। চীনে জন্মহার কমে যাওয়ায় ১৪০ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে ভারতের চেয়ে এক ধাপ নিচে নেমে এসেছে। ভারতের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ এখন চীন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর মাথা ব্যথার কারণ হচ্ছে, নতুন প্রজন্ম বিয়ে তো অনীহা এবং জন্মহার এর ঘাটতি দিন দিন বেড়ে যাওয়া। দেশের এই অন্দরমহলের সমস্যার সমাধান খুঁজছেন তিনি। চীনে জন্মহার কমে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে বার্ধক্য। আগে চীনের ছেলেমেয়েরা ২৪ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যেই বিয়ে করে নিত এখন সেই বিয়ে করতে করতে তাদের বয়স হয়ে যাচ্ছে ২৮ থেকে ৩৫ বছর। এইসবের মধ্যেও অনেকে রয়েছেন যারা আর বিয়ে করতে চান না।
এই বিয়ের প্রবণতা কমে আসা এবং জন্মহার কমে গিয়ে বার্ধক্য বৃদ্ধি এবং জনসংখ্যার ঘাটতি এইসব কিছু মিলে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক দিক থেকে সংকটের মুখে পড়তে হতে পারে চীনকে।