আন্তর্জাতিক
ফের চিনে করোনার থাবা, জারি করা হচ্ছে কঠোর লকডাউন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রায় দু’বছর বাদে কোভিড (Covid 19)আতঙ্ক কাটিয়ে ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে জনজীবন। অতিমারির ছোবলে বসে যাওয়া অর্থনীতির চাকা যখন একটু একটু করে ঘুরতে শুরু করেছে ঠিক তখনই করোনার আঁতুরঘর চিনে নেমে এলো ফের অশনিসংকেত। আবারও জিং পিং-এর দেশে হু-হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। যার জেরে ইতিমধ্যেই চিনের (China) বিভিন্ন শহরে পুনরায় লকডাউন করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, রবিবার আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, চিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের থেকে জারি করা কোভিড বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টায় সেদেশে প্রায় ৩৪০০ নতুন কোভিড কেস ধরা পড়েছে। এছাড়াও গত দু’বছরের স্মৃতি যেন ফের না ফিরে আসে তারজন্য উত্তর চিনের বিভিন্ন শহরে ফের লকডাউন জারি করেছে চিনা প্রশাসন।
এই বিষয়ে চিনা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিডের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ইতিমধ্যে উত্তর-পূর্ব চিনের জিলিন প্রদেশের রাজধানী চা-চুং এ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বাচ্চাদের স্কুলগুলি। উত্তর-পূর্ব চিনের এই প্রদেশের জনবসতি প্রায় ৯০ লাখের কাছাকাছি। এত বিপুল সংখ্যক নাগরিকদের মধ্যে ক্রনা,ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তা রুখতেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘দয়া করে সন্তানদের যুদ্ধে পাঠাবেন না’ , ভিডিয়ো বার্তায় কাতর আর্জি জেলেনস্কির
এছাড়াও জিলিন প্রদেশের নাগরিকদের ইতিমধ্যে ছয় রাউন্ড কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। অন্যদিকে রবিবার এই শহরের প্রায় ৫০০ জনের দেহে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। শুধু জিলিন প্রদেশের বিভিন্ন শহর নয় করোনার প্রকোপ আটকাতে গত শুক্রবারই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে শিপিং এবং ডুনহা শহরেও। অন্যদিকে, নতুন করে কোভিড আতঙ্ক তাড়া করায় জিলিন প্রশাসনের তরফে আপৎকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকলের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, কোনও রকম মিটিং, মিছিল জনসভা বা অনুষ্ঠানের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Russia Ukraine Conflict: মুহুর্মুহ ভেসে আসছে গোলাগুলির শব্দ, নতুন ভোরের আশায় দিন গুনছে ওঁরা
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের হদিশ মেলে চিন দেশেই। যদিও সেই সময় গোটা বিশ্বের কাছে বিষয়টি লুকিয়ে যায় চিন। আর তারপরই গোটা দুনিয়ায় কোভিড মহামারী দাপট দেখাতে শুরু করলে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা হতে থাকে চিন। যদিও দু’বছরের মাথায় ভ্যাক্সিনেশনের ফলে করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি থেকে ফের চিনের বিভিন্ন প্রদেশে করোনা মাথা চাড়া দেওয়ায় নতুন আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে চিনাবাসীকে।