আন্তর্জাতিক
টানা বিধিনিষেধে জেরবার চিনাবাসী, লকডাউন তুলে নিতে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেখতে দেখতে করোনার দু’বছর পার হয়ে গিয়েছে। বিশ্বজুড়ে ভ্যাক্সিন আসার ফলে অনেকটাই কেটে গিয়েছে কালান্তক করোনার কালবেলা। তবুও রেহাই নেই!
দুই বছর পরও করোনার আঁতুড়ঘর চিনে ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে মারণ এই অদৃশ্য ব্যাধি। চিনে পুনরায় হু-হু করে করোনার তাণ্ডব শুরু হওয়ায় ইতিমধ্যে লকডাউনের পথে হেঁটেছে চিনা সরকার। মারণ ব্যাধিকে বাগে আনতে চিনের একাধিক শহরে জারি কঠোর কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। সংক্রমণের রেশ যাতে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য চিনের অন্তত ৪০ লাখ মানুষ গৃহবন্দি রয়েছেন।
সূত্রের খবর, চিনের সবথেকে বড় বাণিজ্যিক শহর সাংহাইতে করোনা ঠেকাতে প্রায় ২৫ মিলিয়ন সাধারণ মানুষকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। গত ৭ সপ্তাহ ধরে তাঁরা গৃহবন্দি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাংহাইয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, সাংহাইতে করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী থাকলেও প্রশাসনের তরফে লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে না। বরং দিন যত লকডাউনের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে মাঙ্কিপক্সের আতঙ্ক, বিশ্বের ২০’টি দেশে মিলল সংক্রমণের হদিশ
Trusszynska নামের সাংহাইয়ের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, দীর্ঘ মেয়াদি লকডাউনের কারণে তাঁদের বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। করোনা রুখতে সরকারি এই বিধিনিষেধের জেরে সমস্যায় পড়েছেন দেশের বাইরে থাকা পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, সরকারের উচিত এখনই লকডাউন তুলে নেওয়া। নাহলে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে বাদ্য হবেন।
আরও পড়ুন: অতিমারি অতীত! ২ বছর পর পর্যটকদের জন্য খুলছে জাপানের দরজা
শুধু তাই নয়, সাংহাইবাসীর আরও অভিযোগ, দীর্ঘ মেয়াদি কঠোর এই লকডাউনের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই বিষয়ে সরকারের তরফে তাঁদের কোনওরকম সাহায্য করা হচ্ছে না। বরং প্রতিদিন সাংহাই প্রশাসনের তরফে স্বাস্থ্য দফতরের লোক এসে শরীরের তাপমাত্রা মেপে যাচ্ছেন এবং বাড়ির নম্বর নোট করে নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ লকডাউন তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে তাঁদের কোনও উচ্চবাচ্য নেই বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।