সীমান্তে অশান্তির মধ্যেই ভারত সফরে চিনা বিদেশমন্ত্রী
Connect with us

দেশের খবর

সীমান্তে অশান্তির মধ্যেই ভারত সফরে চিনা বিদেশমন্ত্রী

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ২০২০ সালের লাদাখ সংঘর্ষের পর ভারত এবং চিন আবার কাছাকাছি। ২০২০ সালের পর ভারত এবং চিনের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই তলানিতে এসে ঠেকেছে, যেখান থেকে চিনের একাধিক সংস্থা এবং অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে ভারতে। এই অবস্থায় এবার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে দুদিনের সফরে ভারতে আসছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই আগামী ২৪ ও ২৫ শে মার্চ ভারতে থাকবেন। এখানে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন ওয়াং ই বলে জানা গিয়েছে। কার্যত ভারতের মাটিতে লাদাখ সংঘর্ষের পর প্রথম বৈঠকে বসছে ভারত এবং চিন। অনেকেই মনে করছেন, ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার জেরে মার খাচ্ছে চিনা ব্যবসা। আর তাই সম্পর্ক ভালো করতে বদ্ধপরিকর বেজিং। আবার অনেকে মনে করছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে মার্কিনদের জবাব দিতে চাইছে চিন। তবে এই বৈঠকের ফলে আগামী দিনে ভারত এবং চিনের পারস্পরিক সম্পর্ক আদৌ উন্নত হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।

অন্যদিকে, টানা দু’বছর অতিমারির দাপটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল জনজীবন। সংক্রমণ রুখতে সরকারি বিধিনিষেধের জেরে এক-দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দি ছিল গোটাবিশ্ব। ওয়ার্ক ফ্রম অফিস চলে গিয়েছিল ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমে’। এই অবস্থায় বাজারে ভ্যাকসিন আসতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে। ফের ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পথে গোটাবিশ্ব।

Advertisement

আরও পড়ুন: লকডাউন করেও রোখা যাচ্ছে না সংক্রমণের দাপট, চিনে করোনায় নতুন করে মৃত ২

কিন্তু নতুন বছর শুরুর দু’মাস যেতে না যেতেই ফের সংক্রমণের আতঙ্ক তাড়া করছে Covid19-এর আঁতুড়ঘর চিনকে। লকডাউন করেও রোখা যাচ্ছে না সংক্রমণের রেশ। ২০২১ সালে যেখানে একটিও নতুন কোভিড কেস ছিল না। সেখানে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চিনের বিভিন্ন প্রদেশে বিশেষ জিলান প্রদেশে হু-হু করে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা। বিশেষ করে খবর মিলছে করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার কথা।

আরও পড়ুন: ফের চিনে করোনার থাবা, জারি করা হচ্ছে কঠোর লকডাউন

Advertisement

চিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জারি করা কোভিড বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত চিনের জিলান প্রদেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২১৫৭। যদিও কোভিড সংক্রমণ রুখতে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে চিনা সরকার। অর্থাৎ যেখানে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়বে শুধুমাত্র সেই জায়গাতেই লকডাউন করা হবে। এদিকে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চিনা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রেও বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে চিনে আসার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। আর এতে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন ভারতে পাঠরত অন্তত পক্ষে ২৩ হাজার পড়ুয়া।