দেশের খবর
আইএএস আইন সংশোধনের বিরোধিতা করে আবারও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : আইএএস ক্যাডার রুল সংশোধনী প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইএএস অফিসারদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের বিবাদের মধ্যেই রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র।
তাতে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পাঠাতে হবে আইএএস অফিসারদের সম্পত্তি সংক্রান্ত খতিয়ান। মুখ্য সচিবদের এই দায়িত্ব নিতে হবে। যদি তাঁরা সময়মতো না পাঠান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্র। এই আইএএস আইন সংশোধন নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে চিঠি লিখলেন। চিঠিতে ফের তিনি এই আইন সংশোধন নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আমলারা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের প্রতিটি মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
এই প্রেক্ষিতে যদি তাঁদের গতিপথ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে কাজের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হবে। এর ফলে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরোধ আরও বাড়বে। এই সংশোধনী কার্যকর হলে আমলাদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হবে যা তাঁদের কাজে প্রভাব ফেলবে। রাজ্যের প্রতি আর তাঁদের আনুগত্য থাকবে না। বিষয়টিকে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ বলেও উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে কোনও আমলাকে কেন্দ্র যদি সরিয়ে নেয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে রাজ্যের অধিকারের হস্তক্ষেপ। তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ক্ষেত্রেও বিপদজ্জনক। এই প্রস্তাবিত সংশোধনী শুধু দেশেরই ক্ষতি করবে না, দেশের গণতন্ত্রকেও ধ্বংস করে দেবে। সাংবিধানিক অধিকার এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা থেকে রাজ্যকে বঞ্চিত করা হলে প্রতিটি রাজ্যকেই কেন্দ্রের দয়ার উপর নির্ভরশীল হতে হবে। আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থেকে রাজ্যকে বঞ্চিত করবেন না। তা হলে ভবিষ্যতে দেশের শাসনব্যবস্থার উপর বড় প্রভাব পড়বে। এটা ভুলে গেলে চলবে না, কেন্দ্রে যে দলই ক্ষমতায় থাকবে, তারাই এই প্রস্তাবিত সংশোধনীর অপব্যবহার করবে। উল্লেখ্য, সংশোধনীর প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৩ জানুয়ারিও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছিলেন, ‘আপনি নিজেও অনেক বছর একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাই আমার বক্তব্যের সত্যতা আপনি বুঝতে পারবেন।’