বাংলার খবর
মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু-ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করছেন, বিস্ফোরক অভিযোগ দিলীপ ঘোষের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর ‘কালিকে’ নিয়ে করা মন্তব্যকে ঘিরে চলা বিতর্কের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু এবং ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। দীলিপ ঘোষ তাঁর দাবির সমর্থনে হিন্দু পরিবার থেকে আসা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর নামাজ পড়া এবং পেট ভরে খেয়ে ইফতার পার্টিতে যাওয়ার উদাহরণ দিয়ে কটাক্ষ করেছেন।
সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের একটি কথা আছে- অন্য ধর্মকে সম্মান করুন, নিজের ধর্মকে অনুসরণ করুন। কিন্তু এখানে আমরা উল্টোটা দেখতে পাই। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবার থেকে এসেছেন। কিন্তু তিনি নামাজ পড়েন এবং রোজা পালন করেন। কখনও কখনও পেট ভরে খেয়ে ইফতার পার্টিতে যান। তিনি এভাবে ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম উভয়কেই কলুষিত করছেন।’
যদিও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেন না। তিনি সব ধর্মকেই সমানভাবে সম্মান করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজ্যে একটা সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করেছেন। অন্য ধর্মের মানুষ আরেক ধর্মের উৎসবে শামিল হবেন, এটাই বাংলা রীতি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নামাজ পড়া বা ইফতার পার্টিতে যাওয়ায় ওয়াকিবহাল মহল থেকে শুরু করে দলের নেতা-কর্মীরা কোনও অন্যায় দেখছেন না।
ওই অনুষ্ঠানে নবী মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘তাঁর বক্তব্যের পরে কতজন লোক মারা গিয়েছিল? আমি জানি না। কিন্তু স্বাধীনতার আগে দাঙ্গায় শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিলেন। তখন তো সেখানে বিজেপি ও নূপুর শর্মা ছিল না। এই হিংসার পিছনে যে মতাদর্শ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায় বিশ্ব।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আপনি যদি মনে করেন যে নূপুর শর্মা যা বলেছেন তা ভুল, আসুন এবং তর্ক করুন, টিভিতে প্রকাশ্যে আপনার যুক্তি দিন। যৌক্তিক যুক্তি ব্যবহার না করে, আপনি তলোয়ার বের করছেন।’ দীলিপ ঘোষ বলেছেন, যুগে যুগে হাজার হাজার হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু হিন্দু ধর্মের প্রতি বিশ্বাস এখনও দেশের ১০০ কোটি হিন্দুর সঙ্গে আছে।
