বাংলার খবর
দীপাবলিতে রায়গঞ্জে চাঁদের হাট, এক ক্লাবে শ্রাবন্তী, অন্য ক্লাবে আমিশা প্যাটেল

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। এই আলোর উৎসবে দীপাবলির আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহর। শহর জুড়ে ছোট-বড় অনেকগুলো পুজো হয়। ছোট-ছোট ক্লাবগুলো অল্প বাজেটের মধ্যে দিয়ে নিজেদের পুজোয় ছাপ রাখার চেষ্টা করে।
ঠিক তেমনই বড় নামি ক্লাবগুলো একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করে থাকে। কোনও ক্লাব যেমন ভালো প্যান্ডেল বানিয়ে নজরকাড়ার চেষ্টা করে, আবার কোনও ক্লাব লাইটিং দিয়ে দর্শনার্থীদের মনে দাগ কাটার চেষ্টা করে। আবার কোনও ক্লাব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহরবাসীদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করে। শহরের উল্লেখযোগ্য পুজো কমিটিগুলো হল, মুনলাইট ক্লাব, রামকৃষ্ণ সংঘ, বিপিএস ক্লাব, নেতাজি পাঠাগার ক্লাব, বয়েজ সুকান্ত ক্লাব, দেহশ্রী ব্যায়ামাগার ক্লাব। এছারা আরও অনেক ক্লাব পুজোর মাধ্যমে শহরবাসীর মনে নিজেদের ছাপ রাখে।
প্রতিমা, আলো, প্যান্ডেল তো আছেই, কিন্তু রায়গঞ্জের পুজো আরও জমজমাট হয়েছে শহরের সাথে বলিউড আর টলিউড মিলে মিশে একাকার হওয়ায়। আর এই উদ্যোগ নিয়েছে রামকৃষ্ণ সংঘ এবং অনামি বয়েজ সুকান্ত ক্লাব। অনামি বয়েজ সুকান্ত ক্লাবের উদ্যোগে রায়গঞ্জে এসেছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং রামকৃষ্ণ সংঘের উদ্যোগে এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। শ্রাবন্তীকে নিয়ে আসতে পেরে যেমন খুশি ক্লাব সমর্থকরা এবং দর্শনার্থীরা, ঠিক তেমনি রায়গঞ্জে আসতে পেরে মূল উদ্যোগতা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, রন্তু দাস এবং ক্লাব সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশিপাশি সমস্ত শহরবাসীকে দীপাবলি উৎসবের শুভেচ্ছা জানান।
অপরদিকে রামকৃষ্ণ সংঘের উদ্যোগে রায়গঞ্জে প্রথম পা রাখলেন কোনও বলিউড অভিনেত্রী। বেজায় খুশি ক্লাব সদস্যরা এবং আগত দর্শনার্থীরা। রায়গঞ্জে প্রথম আসতে পেরে ক্লাব কর্তাদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি রায়গঞ্জবাসীর তাঁকে দেখার আবেগ দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন ‘কহ না পেয়ার হ্যায়’ খ্যাত নায়িকা। আমিশা প্যাটেল অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মূল উদ্যোগতা অর্ণব মণ্ডল (বান্টি) কে। তিনি বলেছেন, অর্ণব মণ্ডলের জন্য তিনি এতো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। শহরবাসীকে খুব ভালোভাবে দীপাবলি উৎসব কাটানোর কথাও বলেন। রায়গঞ্জে ঠাকুর দেখতে শহরবাসী এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষতো আসেনই, পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলার অনেক দর্শনার্থীও রায়গঞ্জে ঠাকুর দেখতে আসেন।