বাংলার খবর
পড়ুয়াদের পোঁতা বীজ থেকে তৈরি চারাগাছ দিয়েই বনমহোৎসব পালন, ধূপগুড়ির স্কুলের অভিনব উদ্যোগ
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কচি হাতের লালন পালনে বীজ থেকে তৈরি হল চারা। সেই গাছের চারা দিয়েই বনমহোৎসব উদযাপন করবে কচিকাঁচা স্কুল পড়ুয়ারা। নাওয়া খাওয়া ভুলে তারই প্রস্তুতি চালাচ্ছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি বাড়োঘড়িয়া বটতলি স্বর্নময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তদারকিতে রয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষারত্ন জয় বসাক।
গত কয়েকবছর ধরেই জলপাইগুড়ি জেলায় থাকা প্রাথমিক স্কুল গুলির মধ্যে নজরকাড়া বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে এই স্কুল। যার মধ্যে রয়েছে হরেক রকম মিড ডে মিল, মাদার্স ডে ইত্যাদি।এবার তাদের নতুন প্রয়াস বন মহোৎসব উদযাপন। এবার বিদ্যালয়ের দু’শোরও বেশি কচিকাঁচা তাদের স্কুলের একটি অর্জুন গাছের ফল সংগ্রহ করে নিজেদের হাতে বীজতলা তৈরী করে সেখানে বীজ রোপন করে তার থেকে চারাগাছ বানিয়েছে। এবার সেই গাছগুলি নিজেদের নামে নামাঙ্কিত করে তারা রাস্তার পাশে লাগিয়ে নিজেরাই লালন পালন করবে। উদ্দ্যেশ্যে, সবুজের পরিমাণ গাছের সংখ্যা বাড়ানো।
বাড়োঘড়িয়া বটতলি স্বর্নময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র দীপঙ্কর রায় বলছিল, ‘এই গাছের চারা আমরা তৈরি করেছি। বন মহোৎসবের দিন এই চারা গুলো আমরা রাস্তার পাশে লাগাবো।’ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয় বসাক বলেন, ‘২০১৭ সালে তৎকালীন স্কুল পরিদর্শক আমাদের স্কুলে এসে এই অর্জুন গাছ লাগিয়েছিলেন। সেই গাছ লালন-পালন করেছে স্কুল পড়ুয়ারা। সেই গাছ বড় হয়েছে। এবার ফল ধরেছে। তাই আমরা ঠিক করলাম নিজেরাই এই অর্জুন গাছের ফল দিয়ে চারা তৈরি করে সেই চারা বন মহোৎসবের দিন লাগাবো। তাই আমরা বনদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বীজতলা বানানোর কায়দা শিখে পড়ুয়াদের শিখিয়েছি। তারাই এই বীজ বপন করে চারা গাছ তৈরি করেছে। আসলে আমরা চাই প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি এরা সামাজিক কাজে নিজেরা অংশ নিক। পড়ুয়ারা মানুষের মতো মানুষ তৈরি হোক। আমাদের পড়ুয়ারা আগামী ১৯ জুলাই এই চারা গুলো রাস্তার পাশে লাগাবে। তারাই এই গাছ গুলোর লালন পালন করবে। আমরা প্রায় ২৫০ চারা লাগাবো।’ স্কুলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবক, এলাকার মানুষজনের পাশাপাশি প্রশাসনিক মহল।