বাংলার খবর
তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্য মৃত্যুতে FIR দায়ের, শুরু CBI তদন্ত

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ঝালদায় নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর সঙ্গীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় CBI অভিযোগ দায়ের করা হল। শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। এদিকে তপন কান্দুর মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার ঝালদায় ১২ ঘণ্টার বনধ পালনের ডাক দিলো কংগ্রেস। এদিকে তপন কান্দুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্য মৃত্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ, অত্যাচার সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, বুধবার সকালেই ঝালদায় নিজের বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। এদিকে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুতে রহস্য রয়েছে বলে দাবি নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর। এদিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মোবাইল ফোন। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় ফোন সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও মৃতের সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে, ‘পুলিশ বারবার ডেকে পাঠাচ্ছিল। মানসিক চাপ সহ্য করতে পারছিলেন না।” এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই আত্মহত্যার প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবার।
আরও পড়ুন: তপন কান্দু খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
জানা গিয়েছে, পেশায় শিক্ষক নিরঞ্জন বৈষ্ণব ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দুকে বহুদিন ধরেই চিনতেন। নিহত তপন কান্দু খুন হওয়ার ঘটনায় অন্যতম সাক্ষী ছিলেন তিনি। এদিকে তপন কান্দুর মৃত্যুর পর সাক্ষী হিসেবে তাঁকে বারবার থানায় ডেকে নিয়ে যেত পুলিশ। থানায় বসে থাকতে হত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মানসিক চাপ দিত পুলিশ। আর তার জেরেই এই রকম চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে বলে অভিযোগ পরিবারের।
পেশায় শিক্ষক নিরঞ্জন বৈষ্ণবকে বুধবার সকালে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে বেরোতে না দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপরই ঘরের দরজা খুলতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। বছর ৪০ এর নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যু নিয়ে আরও জটিল হচ্ছে রহস্য।
আরও পড়ুন: শুরু পেটে-বুকে ব্যাথা, SSKM এর সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে অনুব্রত
প্রসঙ্গত, Purulia-এর ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ৪৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে CBI কে। যদি বাড়তি সময় লাগে তখন বিবেচনা করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে।