বাংলার খবর
বিজেপি নেতা খুনে CBI জালে আরও ১

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিজেপি (BJP) নেতা তারক সাউ খুনের ঘটনায় আরও এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। ধৃতের নাম চিত্তরঞ্জন রাউৎ। বাড়ি আগুইবনি এলাকায়। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ২১ মার্চ ঝাড়গ্রাম থানার নেতুরা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের (TMC) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় আগুইবনি অঞ্চলের পিন্ড্রাকুলি গ্রামের বাসিন্দা সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় দূর্গা সোরেনকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। ওই একই দিনে ওই এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে অচৈতন্য অবস্থায় দূর্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা।এরপর তাঁকে ঝাড়গ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, তারই পাল্টা হিসেবে এলাকার বিজেপি নেতা তারক সাউের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঝাড়গ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে ওড়িশার কটকের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। ২৫ মার্চ সেখানেই ওই বিজেপি নেতার মৃত্যু হয়। এদিকে মৃত ওই বিজেপি নেতা তারক সাউের খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: বিফলে চিন্তন বৈঠক, লকেটকে পালটা তোপ দিলীপের
যদিও এর আগে আগুইবনি অঞ্চলে তৃণমূলের ৯ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন নিহত তৃণমূল কর্মী দূর্গা সোরেনের স্ত্রী সহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য। নিহত তৃণমূল কর্মী দূর্গা সোরেনের স্ত্রী সাকরো, দূর্গার ভাই স্পেশাল হোম গার্ড পিয়ন সোরেন, পিয়নের স্ত্রী সরোজমনি সোরেন, দাদা বিক্রম সোরেন। আগুইবনি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান স্বপন পৈড়া, সহ ৯ জন। নতুন করে এই ঘটনায় রবিবার গ্রেফতার হওয়া চিত্তরঞ্জন রাউৎকে ফের তিনদিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় ঝাড়গ্রাম আদালত।
অন্যদিকে, ভোটের বাজারে বিজেপির ভরাডুবি নিয়ে চলছে একে অপরকে দোষারোপ করার পালা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, বিজেপি দলের মধ্যেই ক্রমশ বাড়ছে গোষ্ঠীকোন্দল। শুধু তাই নয়, পুরভোটে বিজেপির আসন সংখ্যা নিয়ে শনিবার বিজেপির ডাকা চিন্তন বৈঠকে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন চুঁচুড়ার বিজেপি সাংসদ অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: আনিস হত্যাকাণ্ড: দোষীদের শাস্তির দাবিতে জেলায়-জেলায় CPIM এর প্রতিবাদ মিছিল
জানা গিয়েছে, দলের চিন্তন বৈঠকে সংগঠন ও দলের পরিস্থিতি নিয়ে লকেট যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তার প্রেক্ষিতে এদিন সাংবাদিকদের কাছে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ”চিন্তন বৈঠক ছিল নির্বাচন এবং বর্তমান সময়ে আগামী দিনে কি হওয়া উচিত তা নিয়ে সবাই সবার বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু কেউ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ভুল ত্রুটি ধরে তাহলে তার দায়িত্ব জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।”