বিনোদন
ক্যাট-ভিকির বিয়ের নিমন্ত্রণ অতিথিদের কাছে হয়ে উঠেছে বিরক্তিকর!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিয়ের নিমন্ত্রণ পেলে সবারই বেশ ভালো লাগে। কিন্তু ভিকি কৌশল আর ক্যাটরিনা কাইফের বিয়েতে যাঁরা নিমন্ত্রণ পেয়েছেন, তাঁরা কিন্তু বেশ বিরক্তবোধ করছেন! শুধু তাই নয়, তাঁরা অপমানিত বোধ করছেন! ৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার বহু জল্পনার পর গাঁটছড়া বাঁধছেন ভিকি আর ক্যাটরিনা।
হাতের মেহেন্দি থেকে বিয়ের পোশাক, সবই পরিকল্পনা মাফিক প্রস্তুত। ভিকি-ক্যাটের বিবাহ কোনও রাজকীয় বিয়ের থেকে কম কিছু নয়। আর সেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁরা তাঁদের নিমন্ত্রিত অথিতিদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে হাজারো একটা শর্ত! তাতেই ভকি-ক্যাটের বিয়েতে অংশগ্রহণ করাটা এখন অনেকটা চাপ বলে মনে হচ্ছে অতিথিদের। মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে তাঁদের জারি করা বিধি-নিষেধ। এবং অপমানিতও বোধ করছেন। বিয়েতে আমন্ত্রণ পাওয়া অতিথিদের কাছে প্রতিদিন কোনও না কোনও বিধি-নিষেধ হাজির হচ্ছে। ভিকি-ক্যাটরিনার বিয়ের সমন্বয়কারি টিমই এই কাজটি করছে।
অতিথিরা বুঝতে পারছেন না, এটা বিয়ে না কোনও মারাত্মক ঘটনা ঘটতে চলেছে। এতো গোপনীয়তা কেন! সেটাই তাঁরা বুঝতে পারছেন না। তাঁদের কাছে প্রতিদিন আসছে বিধি-নিষেধের চার্ট। সেখানে বলা থাকছে- এটা করা যাবে, ওটা করা যাবে না। অতিথিদের মনে খুব স্বাভাবিক নিয়মে প্রশ্ন উঠছে তাহলে এতই যখন তাঁদের নিয়ে সমস্যা, তাহলে কেন তাঁদের নিমন্ত্রণ করা হলো ?নিমন্ত্রণ করার পর এভাবে অপমান করা হচ্ছে বলেই তারা মনে করছেন। অতিথিদের ওপর ভিকি-ক্যাটের যদি বিশ্বাস নাই থাকে তাহলে তাঁদের না ডাকতেই পারতো বলে তারা মনে করছেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য যেমন করে গোপন করা হয়, ঠিক তেমনই ভিকি-ক্যাটের বিয়েতে আছে সেই রকমের গোপনীয়তা।
তবে তা কেন কেউই বুঝতে পারছেন না। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও দু’জনে একই ভাবে গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন। সেভাবে কেউই মুখ খোলেননি। মাঝে শোনা যাচ্ছিল, তাঁদের বিয়ের খবর ভুয়ো। কিন্তু পরে দেখা গেল, বিয়ে তাঁরা করছেন। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, আমন্ত্রিত অতিথিদের আগে নন ডিসক্লোজার চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে। এর মানে তাঁরা যেন কোনও ভাবেই বিয়ে সংক্রান্ত কোনও খবর, তথ্য, ছবি ইত্যাদি কিছুই শেয়ার করতে পারবেন না। এমন গোপনীয়তা কেন! এই প্রশ্নের উত্তর সত্যিই কেউ খুঁজে পাচ্ছে না।