বাংলার খবর
বগটুই হত্যাকাণ্ড: CBI-এর অবস্থান জানতে চাইল আদালত

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বগটুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার CBI-এর অবস্থান জানতে চাইল কোর্ট (Calcutta HighCourt)। রিপোর্ট নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাবে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। আগামী ৭ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বগটুই হত্যাকাণ্ডে এবং তৃণমূলের উপ প্রধান খুনের ঘটনায় নিহতদের DNA টেস্ট করবে সিবিআই। এদিকে রবিবার নিহত ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পলাশ শেখের বাড়ির অদূর থেকে এক ড্রাম বোমা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর যা নিয়ে ঘণীভূত হচ্ছে অন্য রহস্য। এদিকে ফের বোমা উদ্ধার হল বীরভূমে। এবার বোমা উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়া থানার অন্তর্গত বনগ্রাম এলাকার একটি জঙ্গলে। মোট ২০টি বোমা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বোমার তল্লাশি শুরু করে। এরপরেই ওই দুই গ্রাম থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়। বোমাগুলি আপাতত পুলিশি নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে এবং বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে নিষ্ক্রিয় করার জন্য। বোম স্কোয়াড এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করবে।
আরও পড়ুন: SSC সহ ১০টি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয় আনারুল হোসেনকে। শুক্রবার তাঁকে রামপুরহাট মহাকুমা আদালতে তোলা হলে বীরভূম তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি সম্পূর্ন নির্দোষ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি আত্মসমর্পন করেছেন।”
এদিকে শুক্রবার তাঁকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, বগটুইকাণ্ডে CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় Kolkata High Court। সিট আর তদন্ত করতে পারবে না। অভিযুক্তদের এটুইবার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। মর্মান্তিক এই হত্যালীলায় সত্য উদঘাটনের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগটুই কান্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন যেখানে যা আছে উদ্ধার করতে। তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন: জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া, প্রতিবাদে পথে তৃণমূল
রবিবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুবরাজপুর থানার সেকেন্দারপুর গ্ৰামের একটি ফুটবল মাঠের পাশে প্লাস্টিক ব্যাগ থেকে মোট ৩০টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে সিআইডির বোম স্কোয়াডের টিম এসে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করে। সেখানে উপস্থিত হন জেলার ট্রাফিক ডিএসপি আখতার আলি, দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন প্রমুখ।