বাংলার খবর
বগটুই হত্যাকাণ্ড: নন্দীগ্রাম-গুজরাতের প্রসঙ্গ টেনে CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বগটুইকাণ্ডে এবার CBI তদন্তের নির্দেশ দিল Kolkata High Court। সিট আর তদন্ত করতে পারবে না। অভিযুক্তদের এবার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। মর্মান্তিক এই হত্যালীলায় সত্য উদঘাটনের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা Adhir Chowdhury। জানা গিয়েছে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে CBI। এছাড়াও CBI কে সহযোগিতা করতে হবে বলেও জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
শুধু তাই নয়, বগটুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, রামপুরহাটে যা হয়েছে তা নৃশংস অপরাধ। বীরভূমের এই ঘটনার সঙ্গে তিনি ২০০৭ সালের নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা এবং ২০০২ সালে গুজরাটের ঘটনার প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। এদিন মামলাকারী বলেন, ‘এই ঘটনাকে গুজরাটের ২০০২ সালের ঘটনার সাথে তুলনা করা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: মদের বোতল নিয়ে মাঝ গঙ্গায় রিল ভিডিয়োর শ্যুট, তলিয়ে গেল যুবক
মামলাকারী অভিযোগ করেন, ‘ওই দিন ৮ জনকে হত্যা করা হয়। একজন আহত ব্যক্তি পরে হাসপাতালে মারা গিয়েছে। কিন্তু কারও কোনও বিবৃতি রেকর্ড করা হয়নি। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। তাঁরা এখন গৃহহীন। আমি এমনই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে এলাকা দখল ঘিরেই এই ঘটনা ঘটেছে। প্রমাণ নষ্টের অনুমতি না দিয়ে এখনই তদন্তের জন্য অন্য কোনও স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষকে নিয়োগ করা হোক।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তৎপর পুলিশ প্রশাসন, একাধিক এলাকা থেকে উদ্ধার তাজা বোমা
এদিকে, গত সোমবার বগটুইকাণ্ডে আটজনের জীবন্ত দ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। এই ঘটনাটিকে বর্বোরচিত আখ্যা দিয়ে হত্যালীলার সঙ্গে যুক্ত প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত বলে জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। বগটুই হত্যাকান্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্তকে এদিন তারাপীঠ থানায় রাখা হয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের পরই তারাপীঠে চলল গুলি। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঐ এলাকায়।